গত ২৮ মে থেকে ওই আন্তর্জাতিক সম্মেলন জেনেভায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ৯ জুন এটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।এবারের আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে বাংলাদেশের জন্য সুখবর হলো- বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিয়ে কোন শুনানি হবে না। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ১০৫তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে বাংলাদেশকে কড়া সমালোচনা করা হয় এবং শ্রম অধিকার সুরক্ষার জন্য কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয় যা বিশেষ অনুচ্ছেদ নামে পরিচিত।এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল জেনেভায় অনুষ্ঠিত ১০৬তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে পাঠান।
সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ওইসব শর্ত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বিশেষ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের বিষয়ে জোর প্রচেষ্টা চালান। ফলে বিশেষ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
১০৬তম সম্মেলনে আইনমন্ত্রী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করায় এবছর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার শুনানির তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে বিগত চার বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিয়ে কোন শুনানি হবে না।