তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে পার্কে পূর্ণবয়স্ক ১১টি ব্লু ওয়াইল্ড বিস্ট আনা হয়। তাদের মধ্যে একটি বিস্ট রোগে ভুগে মারা যায়। এ প্রাণিগুলো আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দেশগুলোতে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণ করতে দেখা যায়। এরা তৃণভূমিতে একসঙ্গে পালে চলাফেরা করে।
প্রতি বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে (বর্ষা মৌসুমের শেষদিকে) তারা প্রজনন করে এবং সাড়ে ৮মাস পর তারা বাচ্চা প্রসব করে। প্রতিটি বাচ্চার ওজন হয় সাধারণত ১৯ কেজির মতো।
প্রথমে বাচ্চাদের গায়ের রঙ ধূসর (টনি ব্রাউন) এবং পূর্ণবয়স্ক হলে তার বর্ণ হয় নীলাভ ধূসর। প্রতিবার এরা সাধারণত একটি করে বাচ্চা প্রসব করে থাকে। আট মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত এরা মায়ের সঙ্গে থাকে ও দুধ পান করে। এক সপ্তাহ পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘাস খেতে চেষ্টা করে। পরে তারা স্বাধীনভাবে বিচরণ করে থাকে। এরা ছোট ঘাস খেতে বেশি পছন্দ করে। পুরুষ বাচ্চারা দুই বছর এবং মাদি বাচ্চারা ১৬ মাসে প্রজননক্ষম হয়। প্রকৃতিক পরিবেশে ব্লু বিস্ট ২০ বছর এবং আবদ্ধ পরিবেশে ২৪ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রসবের কয়েক মিনিট পর বাচ্চা ওঠে দাঁড়ায় এবং দৌঁড়াতে শুরু করে। বাচ্চারা এখন আফ্রিকান সাফারিতে মায়েদের সঙ্গে সঙ্গে খেলা করে বেড়াচ্ছে, দৌঁড়াচ্ছে। বাচ্চা তিনটি মাদি না পুরুষ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। মানুষ দেখলে তারা নিরাপদ দূরত্বে সরে যাচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে তাদের কাছে যেতেও দেয়া হচ্ছে না।