সোমবার বিকালে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিগারেট ও মোবাইল কোম্পানিগুলোর জন্য ট্যাক্সের কোনো হেরফের হবে না। আগেও ৪৫ শতাংশ ছিল এবারও একই পরিমাণ থাকবে। তবে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বোচ্চ কর্পোরেট ট্যাক্স হবে ৩৭.৫ শতাংশ।
আবুল মাল আবদুল মুহিত আরো বলেন, আমাদের রাজস্ব আহরণকারী সংস্থা এনবিআরের লোকজনের মন মানসিকতায় পরিবর্তন হয়েছে। একইসঙ্গে আইনেও জটিলতা কমানো হয়েছে। তাই বেশি সংখ্যক মানুষ আয়কর দিচ্ছে। এ খাত থেকেই রাজস্ব বাড়বে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল অনেকটা হয়রানি মনে করে, অনেকেই ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতো না।
কিন্তু এখন এটা আর হয়রানি নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিনন্দন জানায়। কারণ তারা তাদের মন মানসিকতার অনেক পরিবর্তন করেছে। তাছাড়া হয়রানি কমানোর জন্য কিছু আইন-কানুনও পরিবর্তন করা হয়েছে। আমরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা হবে ১৫-১৫ লাখ। কিন্তু সেটা ইতোমধ্যে ৩৩ লাখ ছাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ই জুন ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।