সরজমিনে দেখা যায়, ধলাইনদীর কমলগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, সানন্দপুর, কেওয়ালীঘাট, ঘোড়ামারা এবং বাদেওবাহাটা নামক ৫টি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ৩টি ইউনিয়ন। আকস্মিক বন্যায় ঈদের আগে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর, মুন্সিগঞ্জ ও রহিমপুর ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষ।
মুন্সিবাজার ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের কৃষক আকবর মিয়া জানান, তার প্রায় ৫ একর আউস ফসল ডুবে গেছে। এদিকে, জেলার কুলাউড়া উপজেলার শরিফপুর ও টিলাগাও ইউনিয়নে মনু নদীর ভাঙনে প্লাবিত হয়েছে টিলাগাও, বাগাজুরা,তেলগাও চাতলাপুরসহ ৫টি গ্রাম।
কুলাউড়ার হাজীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু জানান, মনু নদী বিপজ্জনক রূপ নিয়েছে। লাগাতার ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীর পানি বাড়ছে। মাতাবপুর, মাদানগর, চক রণচাপ, হাসিমপুর, বাড়ইগাও ও মন্দিরাসহ ৬/৭ টি এলাকায় নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
চকরনচাপ বাড়ইগাও ও মাদানগরে এলাকাবাসী বাঁধ রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া সাধনপুর, কাউকাপন, বাশউরী ও নোয়াগাও এলাকার নদীতীরবর্তী পরিবারগুলোর ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় তারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, বিপৎসীমার ওপর দিয়ে মনু এবং ধলাই নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরো বাড়বে কারণ ভারতের উজানে বৃষ্টি হচ্ছে।