সোনায় হেরফের: গভর্নর ও এনবিআর সদস্যকে ডেকে পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের সোনার বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দাদের গোপনীয় প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ও বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন মন্তব্যে উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিষয়টির দ্রুত সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্যকে গণভবনে ডেকে পাঠিয়ে এ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের সোনার হিসাব ও ওজনে গরমিল নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে গত তিনদিন ধরে গণমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক সমালোচনামূলক সংবাদ প্রকাশ করায় ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বিষয়টির দ্রুত সমাধানে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ও রাজস্ব বোর্ডর চেয়ারম্যানকে গণভবনে ডেকে পাঠান। রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান দেশে না থাকায় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (আন্তর্জাতিক চুক্তি) কালিপদ হালদার বৈঠকে অংশ নেন। সকাল ১১টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে।

সূত্র আরও জানান, বৈঠকে উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনেন প্রধানমন্ত্রী। শুল্ক গোয়েন্দাদের গোপনীয় প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় অতি দ্রুত যাতে এ সমস্যার সমাধান হয় সে বিষয়ে উভয়পক্ষকেই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা সোনার ওজনে ও পরিমাণে গরমিলের অভিযোগ এনে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের দেওয়া একটি গোপন প্রতিবেদন সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

এ ঘটনার পরদিন বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরসহ সোনার মান যাচাইকারী এক স্বর্ণকারের ওপর বিষয়টির দায় চাপানোর চেষ্টা করা হয় এবং এই ভুলকে ‘ক্লারিক্যাল মিসটেক’ বলা হয়। শুল্ক গোয়েন্দারা সরাসরি এ বিষয়ে প্রত্যুত্তর না করলেও ওই স্বর্ণকার দাবি করেন তিনি ইচ্ছেকৃতভাবে কোনও ভুল করেননি।

এ নিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ১৮ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, ভল্টে রক্ষিত সোনা সব ঠিকই আছে। রাজনৈতিক মহলেও বিষয়টি নিয়ে সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে নানা বাহাস চলছে। জনমনে এ নিয়ে নানা ধরনের সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় সমস্যা নিরসনে আজ বৃহস্পতিবার এ উদ্যোগ নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।