তাজউদ্দীনের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আজ

ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী সোমবার।

তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া (দারদরিয়া) গ্রামে ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৌলভী মো. ইয়াসিন খান ও মায়ের নাম মেহেরুন্নেছা খানম।

তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা, সততা ও আদর্শের অনন্য এক প্রতীক। মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে তার সক্রিয় রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ’৬৬ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলকারী ঘাতকচক্র সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। সেদিন তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দি করা হয়। পরে তাকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়। একই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে আটক অবস্থায় ঘাতকচক্র তাজউদ্দীনসহ আরও তিন জাতীয় নেতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।

দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকী পালন করবে কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

এদিকে, তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বিকেলে ‘তাজউদ্দীন আহমদ: কর্ম ও জীবন’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী (২৩-৩০ জুলাই) প্রদর্শনী শুরু হতে যাচ্ছে।

পাশাপাশি থাকছে মেধাবী ও গণমনস্ক এই নেতার রাজনৈতিক ব্যক্তি সত্তা নিয়ে আলোচনা, তার স্বকণ্ঠের ভাষণ, ভাষণ থেকে পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আলোচনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তাজউদ্দীন আহমদের ভাষণ থেকে পাঠ করবেন আবৃত্তিশিল্পী সৈয়দ শহীদুল ইসলাম নাজু। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে ইউনিভার্সিটি অব লিবারাল আর্টস (ইউল্যাব) ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর তাজউদ্দীন আহমদের স্ত্রী জোহরা তাজউদ্দিন মারা যান। তিনি আমৃত্যু আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ১৯৭৮-৮১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দলকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন জোহরা তাজ।

এই দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সাবেক স্বরাষ্ট্র পতিমন্ত্রী তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ। আর এক মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি, আরেক মেয়ে শারমিন আহমদ লেখালেখির সঙ্গে জড়িত।