শেষ উত্তেজনা তিন সিটিতে

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজশাহী-সিলেট-বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা আজ রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। মিছিল-শোভাযাত্রাও নিষিদ্ধ থাকবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। শুক্রবার থেকে সিটি এলাকায় বহিরাগতদের অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভোটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আজ থেকে মাঠে নামছেন বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চার দিনের জন্য মাঠে থাকবেন তারা।

তিন সিটি এলাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে বসানো হচ্ছে নিরাপত্তা চৌকি। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে তিন সিটি এলাকা। আইনশৃঙ্খলার দিকে সতর্ক চোখ রাখছে নির্বাচন কমিশন। সংসদ নির্বাচনের আগে তিন সিটি নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি।

এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। ভোট গ্রহণের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে।

ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমদ খান বলেন, আজ মধ্যরাতে প্রচারণা বন্ধ হবে। আজ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামবেন। নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, তিন সিটি নির্বাচনে জঙ্গি তত্পরতা ও গুজব রটানো রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এ নির্বাচন সামনে রেখে আজ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত মাঠে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, নির্বাহী-বিচারিক হাকিমসহ মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ইসির চাহিদা অনুযায়ী রাখা হয়েছে।

১২ জুলাই আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ভোট সামনে রেখে জঙ্গি তত্পরতা ও সহিংসতা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সেদিকে নজর রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেছেন, চার দিনের জন্য ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ২২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রাখা হবে।

এ ছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের টিম এবং বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হবে। রাজশাহীতে ১৫ প্লাটুন, বরিশালে ১৫ প্লাটুন ও সিলেটে ১৪ প্লাটুন বিজিবি রাখা হবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোট কেন্দ্রের বাইরে র্যাব-পুলিশের টিম ও কয়েক প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে থাকবে।

বহিরাগত নিষিদ্ধ, প্রচার বন্ধ আজ মধ্যরাতে : ৩০ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তিন সিটিতে একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। ভোট শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে আজ ২৮ জুলাই রাত ১২টা থেকে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হবে। সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সিটি এলাকার বাসিন্দা নন এমন ব্যক্তিদের গতকাল (২৭ জুলাই) রাত ১২টা থেকে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রভাবশালীরা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করলে বা অবৈধ প্রভাবের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। গতকাল থেকে ভোটের পরে আরও তিন দিন পর্যন্ত বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন