ডেস্ক রিপোর্ট: ক্যান্সারে আক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত নোয়াখালীর সুধারামের আব্দুল কুদ্দুসকে ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত এই প্রথম কোনো আসামিকে আপিল বিভাগ জামিন দিলেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আব্দুল কুদ্দুসের ক্যান্সার বিষয়ে মেডিক্যাল প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে কুদ্দুসের জামিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, আব্দুল কুদ্দুসের ক্যান্সারের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রতিবেদন বিবেচনা করে আদালত জামিন দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৯ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত নোয়াখালীর সুধারামের আব্দুল কুদ্দুসকে কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকদের আব্দুল কুদ্দুসের অসুস্থতা নিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, এর আগে এই আসামির আপিল আবেদন করা হয়। আপিলের সঙ্গে তার জামিন আবেদনও করা হয়। কিন্তু এর আগে আর কোনো আসামির জামিন আবেদন করা হয়নি। এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামির মামলায় আপিল বিভাগে জামিন চাওয়া হয়।
গত ১৩ মার্চ এই মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। একই মামলায় অপর আসামি মো. আব্দুল কুদ্দুসের হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড।