যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কামারুল ইসলাম (৩৭) নামে এক ধর্ষণ মামলায় ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷
নিহত কয়েদি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার কঙশালীপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে৷
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবু তালেব জানান, নিহত কয়েদি কামারুল ইসলাম নারী শিশু একটি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে কারাগারে আসেন৷ এরপর ২০১৭ সালের নারী শিশু আদালত তাকে ৩০ বছরের সাজা দেয়।
এরপর থেকে তিনি কারাগারে কয়েদি হিসাবে ছিলেন। এছাড়াও তার নামে যশোর আদালত তিনটি ও ঢাকার আদালতে একটি মামলা আছে৷ তার সকল মামলা বিচারাধীন রয়েছে৷
গত ১৩ই আগস্ট তার একটি মামলার হাজিরা ছিলো৷ এজন্য তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছিলো৷ আদালত থেকে কারাগারে ফিরে রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি।
হঠাৎ সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে ঘুমের ভেতর চিৎকার করে উঠলে পাশের অন্য আসামিরা কারারক্ষীদের বিষয়টি জানায়৷
কারারক্ষীদের তিনি জানান, যে তার বুকে ব্যাথা করছে৷ তখন কারাগার থেকে হাসপাতালে আনলে জরুরি বিভাগে করতব্যরত চিকিৎসক রাত ১টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করে৷
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশীদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই কয়েদির মৃত্যু হয়েছে৷
নিহত কয়েদি কামারুল ইসলামের ভাই মুকুল হোসেন বলেন, আমার ভাই একটি ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলায় কারাগারে ছিলেন। তিনি মারা গেছেন৷ এ নিয়ে কথা বলে লাভ কি!