যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও যুদ্ধাপরাধীর রায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের দায়মুক্তি হয়েছে। ইতিহাস কোনদিন কাউকে ক্ষমা করেনি। এটি তার আর একটি উদাহরণ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিত্তরদাহ হাইস্কুল মাঠে নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এমপি মনির বলেন, ইতিহাসের কুলাঙ্গার হিসাবে যারা দেশ ও জাতির সাথে বেঈমানী করেছে, পৃথিবীর সকল দেশে তাদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এখনও যারা দেশের বাইরে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মাধ্যমে বিচার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জেলে রাখা ও হত্যা করা হয়েছে। নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য জেলের ভিতরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। রাজাকারদের দেশে এনে রাজনীতি করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা ও মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়েছে। দেশের মানুষ এখন সচেতন হয়েছে। ফলে সেই ইতিহাস বিকৃতকারী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে সমার্থন করে না।
মনিরুল ইসলাম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের আসার পর তাকেও হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। আল্লাহ’র রহমতে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি। এখনও দেশি-বিদেশী চক্রান্ত চলছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্তের জবাব দিতে হবে এবং সকল দ্বিধা ভুলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনাকে আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক এম আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ, উপজেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল কাদের আজাদ, জেলা পরিষদ সদস্য ইকবাল আহমেদ রবি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। নাভারণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, নির্বাসখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শাহাদৎ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা ও শহিদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আসলাম আলী, নুরুল হুদা মিন্টু, গোলাম মোস্তফা, শফিউদ্দীন, লিয়াকত আলী, যুবলীগ নেতা মোমিনুর রহমান সুমন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামছুজ্জোহা লোটাস, নাভারণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ ইমরান প্রমুখ।