মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের মতামত মন্ত্রণালয়ে

মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে জানতে চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের দেওয়া মতামত মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২০ আগস্ট) দুপুরের পর অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ওই মতামত নিয়ে যান।

সোমবার বিকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে সকালে মাহবুবে আলম জানিয়েছিলেন, ‘মতামত প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে পুরোপুরি শেষ হলে তা সরাসরি মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রসঙ্গে রায়ের আলোকে মতামত দেবো। কিন্তু কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তাই মতামতের বিষয়বস্তু নিয়ে গণমাধ্যমে আমি কোনও মন্তব্য করবো না।’

গত সপ্তাহে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে আদালতের রায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতামত জানতে চেয়ে চিঠি দেয় কোটা সংশ্লিষ্ট কমিটি। এ বিষয়ে গত ১৭ আগস্ট মাহবুবে আলম বলেছিলেন, ‘আমি দুই-তিন দিন আগে চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আমার মতামত চাওয়া হয়েছে। সোমবারের মধ্যে আমার মতামত দেবো।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, সরকারি চাকরিতে মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে কোটা প্রথা যতটা সম্ভব তুলে দেওয়ার সুপারিশ করছে এ সংক্রান্ত কমিটি। তবে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যাপারে আদালতের রায় থাকায় এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাইবে সরকার।

তিনি আরও জানান, আমরা মাসখানেক কাজ করলাম। সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত। আমাদের কমিটির সুপারিশ হলো— কোটা অলমোস্ট উঠিয়ে দেওয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া। তবে সুপ্রিম কোর্টের একটা রায় আছে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা প্রতিপালন ও সংরক্ষণ করতে হবে এবং যদি খালি থাকে তা খালি রাখতে হবে।

শফিউল আলম জানান, এ কারণে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বর্তমানে থাকা ৩০ শতাংশ কোটার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চাইবে সরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষণ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ এ সংক্রান্ত কমিটি পুরোপুরি বুঝতে না পারার কারণেই এ বিষয়ে আদালতের মতামত চাওয়া হবে। যদি কোর্ট এটাকেও বাদ দিয়ে দেয় তাহলে কোটা থাকবে না। আর কোর্ট যদি বলে ওই অংশটুকু সংরক্ষিত রাখতে হবে, তাহলে ওই অংশটুকু (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) বাদ দিয়ে বাকি সব উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ আদালত যে মতামত দেয় সেটাই প্রাধান্য পাবে বলেও তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে।