পবিত্র ঈদুল আযহা তথা কুরবানির ঈদের প্রথম দিনে পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) চেয়ে এগিয়ে আছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। উত্তর সিটি শতভাগ বর্জ্য অপসারণের দাবি করলেও দক্ষিণ সিটি ৯০ ভাগ বর্জ্য অপসারণের কথা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশান নগরভবনে কুরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটির প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, এবছর কুরবানি পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ঢাকা উত্তর সিটি পূর্বঘোষিত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, এই স্বল্পসময়ে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ, বর্জ্য ব্যবস্থায়ন এবং সড়ক পরিচ্ছন্নতা কাজে ২৮০টি বিভিন্ন ধরনের যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত ছিল।
ঢাকা উত্তর সিটি থেকে কুরবানি বর্জ্য অপসারণে নিজস্ব ২ হাজার ৭০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সর্বমোট ৯ হাজার ৫০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিরলস পরিশ্রম করে ঢাকা শহরকে আবর্জনা মুক্ত করেছেন বলে জানান জামাল মোস্তফা।
এদিকে নগরভবনে বর্জ্য অপসারণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, দক্ষিণ সিটিতে কুরবানির বর্জ্য ৯০ শতাংশ অপসারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করব। সেই কাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। আজ এবং আগামীকালও কুরবানি হবে। সেগুলোর বর্জ্যও আমরা শতভাগ অপসারণ করে নগরবাসীকে উপহার দেব।’
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কুরবানির বর্জ্য থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা পশু জবাই করার জন্য নির্ধারিত স্থান করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেভাবে আমরা নগরবাসীর সাড়া পাইনি। আমরা আশা করছি, আগামীতে নগরবাসী আরও সচেতন হবে।