বিশ্বসুন্দরী, নামি-দামি মডেল থেকে শুরু করে পতিতাদের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এবার শোনা গেল নতুন আরেক কাহিনী।
নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারের এক ফটকরক্ষী জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক গৃহকর্মীর শারীরিক সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের কারণে একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। শনিবার মার্কিন সিএনএনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিনো সুজাদিন নামের ওই ফটকরক্ষী জানিয়েছেন, এ ঘটনা প্রকাশের স্বত্ব তার কাছ থেকে আমেরিকান মিডিয়া ইনকরপোরেশন (এএমআই) কিনে নিয়েছিল। এ কারণে তিনি এটি প্রকাশ করেননি। তবে আমেরিকান মিডিয়া ইনকরপোরেশন চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করায় এখন তিনি এটি প্রকাশ করতে পারবেন।
২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বরে সুজাদিনের সঙ্গে এএমআইয়ের চুক্তি হয়। এতে বলা হয়, সুজাদিনের গল্পের সম্পূর্ণ প্রকাশস্বত্ব এএমআইয়ের। তবে এতে ওই গল্পটির কোনো উল্লেখ করা হয়নি। তবে এতে শুধু বলা হয়েছে, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ সন্তান সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করবে সূত্র’।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এএমআই যদি গল্পটি প্রকাশ না করে তাহলে সূত্র কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে না’। চুক্তিতে দেখা গেছে, গল্পটি প্রকাশের পর সুজাদিন ৩০ হাজার মার্কিন ডলার পাবেন। তবে চুক্তিপত্রের তৃতীয় পাতায় একটি সংশোধনী দেখা গেছে। এতে বলা হয়েছে, সংশোধন হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে সুজাদিন ৩০ হাজার মার্কিন ডলার পাবে।
সুজাদিনের আইনজীবী হেল্ড জানিয়েছেন, এএমআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় আইনি কারণে এ ব্যাপারে সুজাদিন মুখ খুলতে পারেননি। তবে সম্প্রতি এএমআই তাকে চুক্তির শর্ত থেকে মুক্তি দিয়েছে। তাই তার মক্কেল শিগগিরই এ বিষয়ে মুখ খুলবেন।
একঘরে হয়ে পড়েছে আমেরিকা – মাহাথির : মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদ বলেছেন, পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে আমেরিকা একঘরে হয়ে পড়েছে। তিনি থাইল্যান্ডের বিপিএস বার্তা সংস্থার কাছে এ মন্তব্য করেন।
মাহাথির মোহাম্মাদ বলেন, আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো থেকে একের পর এক আমেরিকার একতরফা বেরিয়ে যাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওয়াশিংটনের ভূমিকা রাখার সুযোগও সংকুচিত হয়ে এসেছে। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সমাজ ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার করেছে।