মোহাম্মদ সালাহ-মিসর দ্বন্দ্ব চরমে। দিন দিন তা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে নিরাপত্তা নিয়ে মিসর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (ইএফএ) কাঠগড়ায় তুলেছিলেন সালাহ। বলেছিলেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সময় তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় না। ভবিষ্যতে তা নিশ্চিত করতেই হবে। এবার তাকে পাল্টা জবাব দিলেন ইএফএ-কর্তারা। বললেন খেলার চেয়ে সে বড় নয়। দলের বাকি খেলোয়াড় ও সেও সমান। তার জন্য বাড়তি নিরাপত্তার দরকার মনে করি না।
রাশিয়া বিশ্বকাপটা মোটেও ভালো যায়নি মিসরের। প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ে। ইএফএর একাংশের দাবি ছিল মনপ্রাণ দিয়ে খেলেননি সালাহ। তাই দলের এ ভরাডুবি। তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও দেরিতে হলেও তা নিয়ে গেল সপ্তাহে মুখ খোলেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড। বলেন, চেষ্টায় আমার কোনো ত্রুটি ছিল না। অধিকন্তু আমার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি।
সালাহর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান ফুটবলের সুপারস্টার তিনি। সুযোগ পেলেই তার সঙ্গে ছবি তোলা, অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভক্ত-সমর্থকরা। তাতে দিন কী, রাত কী! এতে বেকায়দায় পড়তে হয় তাকে। বিশ্বকাপেও এ রকম ঘটনা ঘটেছে!
মিসরীয় কিং বলেন, ওই সময় আমার কাঁধে ব্যথা ছিল। এখান থেকে ওখানে যেতে সমস্যা হতো। এ অবস্থায় পাপারাজ্জি, ভক্তদের আবদার মেটাতে হতো। আমি একা তাদের সামাল দিতে হিমশিম খেতাম। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে দেয়া হয়নি। উপরন্তু আমার ইমেজ স্বত্ব নিয়ে তারা বাড়াবাড়ি করত। আমাকে জানানোরও প্রয়োজন মনে করত না।
সব খবর কানে গেছে ইএফএর কর্তাদের। সেই প্রেক্ষাপটে যে যার মতো করে সালাহকে ধুয়ে দিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ ঝেড়েছেন খালেদ লতিফ। তিনি মিসরীয় ফুটবলের বোর্ড সদস্য। লতিফের ভাষ্য- বাড়াবাড়ি করো না। দেশের চেয়ে তুমি বড় না। খেলাটির চেয়ে তো নয়ই। দরকারে তোমাকে বরখাস্ত করতে পিছপা হব না। তুমি অন্যায় আবদার করতে পার না।
আরেক বোর্ড সদস্য মাগদি আবদেল গানি বলেন, দলের আর ১০ খেলোয়াড়ের মতো তুমিও একজন। তোমার জন্য বাড়তি কোনো কিছু করতে পারব না। কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে ভীষণ রেগে গিয়ে সালাহকে ‘শুয়োর’ বলে গালি দেন তিনি।