বার্বাডোজকে হারিয়ে শীর্ষে মাহমুদউল্লাহ-গেইলের সেন্ট কিটস

আগের ম্যাচেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বীরোচিত ইনিংসের ওপর ভর করে জ্যামাইকা তালাওয়াহসকে হারিয়ে সেরা চারে উঠে এসেছিল সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তাদের প্লে অফে খেলা। তবে, এই নিশ্চয়তা নিরঙ্কুশ করার জন্য শেষ ম্যাচটাতেও জয় প্রয়োজন ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের। পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে থাকা বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসকে ২ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষে উঠে এলো সেন্ট কিটস।

সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্ক স্টেডিয়ামে বার্বাডোজের ছুঁড়ে দেয়া ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জ পার হতে গিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে শুরু করে সেন্ট কিটসের। এভিন লুইস আর ক্রিস গেইল সূচনাটা দারুণ করলেও চতুর্থ ওভারে গিয়ে ৩৭ রানের জুটি ভেঙে যায় মোহাম্মদ ইরফানের বলে। ১৯ রান করে ফিরে যান লুইস।

১৮ বলে ২২ রান করে ফিরে যান ক্রিস গেইলও। ফন ডার ডাসেন মাত্র ৪ রান করে বিদায় নেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ১৯ বলে মাত্র ১৫ রান। এরপর অ্যান্টন ডেভচিস ৮ এবং ভারতের ইব্রাহিম খলিল আউট হন মাত্র ১ রান করে। মূলতঃ সেন্ট কিটসের জয়ের নায়ক ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। জ্যামাইকার ২৩ বছর বয়সী অ্যালেন ৩৪ বলে ৬৪ রানের দুর্দর্ষ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৪টি ছক্কার মার মারেন

বেন কাটিং ১১ এবং অ্যালজারি জোসেফ ৭ রান করে অ্যালেনকে দারুণ সহযোগিতা করেন। শেষ পর্যন্ত ২ বল হাতে রেখেই সেন্ট কিটসকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অ্যালেন। মোহাম্মদ ইরফান একাই নেনন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন ইমরান খান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৬৮ রান। সর্বোচ্চ ৩২ বলেন ৪৪ রান করেন নিকোলাস পুরান। রোস্টন চেজ ২৮ বলে করেন অপরাজিত ৩৮ রান। জ্যাসন হোল্ডার ১১ বলে করেন অপরাজিত ৩০ রান। ডোয়াইন স্মিথ করেন ২৬ রান।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। তাবরিজ শামসি নেন ১৬ রানে ২ উইকেট এবং অ্যালজারি জোসেপ নেন ৩৫ রান দিয়ে ১ উইকেট। ১০ ম্যচ শেষে সেন্ট কিটসের পয়েন্ট ১১। ১০ পয়েন্ট করে নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিনবাগো রাইডার্স, গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স এবং জ্যামাইকা তালাওয়াহস। ৭ পয়েন্ট নিয়ে ৫ নম্বরে সেন্ট লুসিয়া স্টার্স এবং ৪ পয়েন্ট নিয়ে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস।