খালেদা জিয়ার গ্যাটকো মামলার চার্জ শুনানি ১৮ অক্টোবর

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ (অভিযোগ) গঠনসংক্রান্ত শুনানির জন্য আগামী ১৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলাটি অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার দুই আসামি তানভীর আহমেদ ও গালিব হোসেনের পক্ষে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ থাকায় অভিযোগ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

আসামিপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতে হাজিরা দেন।

তবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদউদ্দিন আহমেদসহ ১১ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দুদকের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করেন।

পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ১৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। তবে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন নাকচ করে দেন তিনি।

আদালত সূত্র জানায়, দুদকের দেয়া চার্জশিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। রিট আবেদনের কারণে প্রায় আট বছর নিম্নআদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন খালেদা জিয়া।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) পাইয়ে দেয়া হয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ছয় আসামি মারা গেছেন।