হঠাৎ বিএনপি জোটে অস্থিরতা

সরকারবিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে গিয়ে বিএনপির সঙ্গে ২০ দলীয় জোট শরিকদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চললেও সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে রূপ নেয়। জাতীয় ঐক্যের নামে যুক্তফ্রন্টকে ‘অতি গুরুত্ব’ দেয়ায় নাখোশ জোটের কেউ কেউ।

শনিবার ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান অলি আহমদ নিজেদের ক্ষোভের কথা সংবাদ সম্মেলন করেই প্রকাশ করলেন।

কারো নাম উল্লেখ না করে সংবাদ সম্মেলনে অলি বলেন, জনভিত্তিহীন-আসন বঞ্চিত নেতা, রাজনৈতিক দালাল ও বিতর্কিত সুশীলদের তৎপরতা বাড়ছে। এর থেকে উত্তরণে প্রয়োজন সকলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর।

তিনি বলেন, দেশকে বিশৃঙ্খলার হাত থেকে বাঁচাতে প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন। মানুষের মধ্যে শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের বিকল্প নেই।

অলির এমন বক্তব্যের সঙ্গে জোট শরিকদের অনেকই আংশিক একমত প্রকাশ করেছেন। তবে এই নিয়ে এখনই প্রকাশ্যে কিছু বলতে নাজার তারা।

জানতে চাইলে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বলেন, ২০ দলীয় জোটে কোনো বিভেদ নেই। জোট আছে, থাকবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। জাতীয় স্বার্থে আমরা বৃহত্তর ঐক্য চাই।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, হবে। এসব মোকাবেলা করেই জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে।

জোট সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে জামায়াতকে বাধা মনে করা হচ্ছে এমন অভিযোগে দলটি ‘চুপ করে আছে’। জামায়াতকে বাদ দিয়ে বিএনপি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পারলে তাতে কোনো সমস্যা দেখছে না তারা। জোটের স্বার্থে এতে ‘ছাড় দিতে রাজি’ জামায়াত। যে কারণে এই নিয়ে জামায়াত কোনো কথা বলছে না।

বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জাময়াত জাতীয় ঐক্য নিয়ে বিএনপির উপর কোনো রকম চাপ দিচ্ছে না। তারা চুপ আছে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা জাতীয় ঐক্য চাই। তবে এটা ঠিক বিএনপিকে আরও কৌশলী হতে হবে।

এদিকে দেশের চলমান পরিস্থিতি ও জোটের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং কারাবন্দি জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে কথা বলতে ২০ দলের বৈঠক আহ্বান করেছে বিএনপি। রোববার সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপরসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: পরিবর্তন ডটকম