বিতর্কের পর আম্পায়ারকে ধুয়ে দিলেন সেরেনা

ইউএস ওপেনের নারী এককের ফাইনালে ঘটে গেল অনাকাঙ্খিত এক ঘটনা। ফাইনালে শনিবার রাতে মুখোমুখি হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেরেনা উইলিয়ামস ও জাপানের নাওমি ওসাকা।

সরাসরি সেটে সেরেনাকে ২-৬ এবং ৪-৬ গেমে হারিয়েছেন জাপানি তরুণ তুর্কী। কিন্তু ম্যাচটি যেভাবে শেষ হয়ে তা সবার আছে অপ্রত্যাশিত। অন ফিল্ডে কোচের থেকে ‘পরামর্শ’ নেওয়ার অভিযোগ উঠে সেরেনার বিরুদ্ধে। প্রথমে তাকে সতর্ক করা হয়। পুনরায় একই কাজ করায় পেনাল্টি পয়েন্ট দেওয়া হয় নাওমিকে।

কিন্তু সেরেনা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্টো আম্পায়ারকে ‘চোর’ এবং ‘মিথ্যুক’ বলেছেন। এছাড়া আম্পায়ারের বিরুদ্ধে লিঙ্গবৈষ্যমের অভিযোগ তুলেছেন সেরেনা। ৩৬ বছর বয়সী সেরেনা বলেছেন,‘কখনোই পুরুষদের থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিতে পারবেন না তিনি। কারণ তাকে অনেক কথা শুনতে হবে। আমি অনেক দেখেছি ছেলেরা বিভিন্ন আম্পায়ারকে অনেক কথা বলে। আমি এখানে নারীদের হয়ে লড়াই করতে চাই। আমি নারীদের সমঅধিকার চাচ্ছি।’

ম্যাচের দ্বিতীয় সেট চলাকালিন ঘটনার সৃষ্টি হয়। কোচ প্যাট্রিক মরটালও সেরেনাকে হাত দিয়ে কিছু একটা ইশারা করেছিলেন। বিষয়টিকে ‘পরামর্শ’ বলছেন ইউএস ওপেন কর্তৃপক্ষ। ডব্লিউটিএ ইভেন্টে বিষয়টি বৈধ হলেও গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টে বিষয়টি অবৈধ। কোচ এবং খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতাও রাখেন আম্পায়ার।

আম্পায়ার প্রথমে সেরেনাকে সতর্ক করেন। কিন্তু সেরেনা জানান, কোচের থেকে কোনো ইশারা পাননি তিনি এবং আম্পায়ার কার্লোস রামোসকে তিনি বলেন,‘জয়ের জন্য আমি কখনোই চুরি করবো না এবং পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করছি।’

তিন গেম পর নাওমিকে পেনাল্টি পয়েন্ট প্রদান করেন আম্পায়ার। কোর্টে সেরেনার অখেলোয়াড়শুলভ আচরণের জন্য আম্পায়ার পেনাল্টি পয়েন্ট উপহার দেন নাওমিকে। বিষয়টি মানতে পারেননি সেরেনা।

পরবর্তীতে নিজের মেজাজ হারিয়ে আম্পায়ারকে ‘চোর’ এবং ‘মিথ্যুক’ বলে সম্বোধন করেন। চিৎকার করে বলে উঠেন,‘এমন কাজটা করা উচিত হয়নি। আমাকে এটা কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু আমি বসে থাকব না। নারীদের জন্য লড়াই করবো। সমান অধিকারের জন্য লড়াই করবো। হয়তো আমার জন্য হবে না। কিন্তু পরবর্তীতে যারা আসবে তারা পাবে।’

এদিকে ম্যাচ জয়ের পর নাওমি ওসাকা জানিয়েছেন, ওই পরিস্থিতিতে কি হচ্ছিল তা তিনি বুঝতেও পারছিলেন না। ২০ বছর বয়সী নাওমি বলেন,‘আমি আমার ফোকাস ঠিক রাখতে চাচ্ছিলাম। তখন কি হচ্ছিল বুঝতে পারছিলাম না। এটা আমার প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্রফি। আমি এখানেই সন্তুষ্ট হতে চাই না।’

ম্যাচ শেষে সেরেনার কোচ প্যাট্রিক ‘পরামর্শ’ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। ২০১২ সাল থেকে সেরেনার কোচ হিসেবে কাজ করছেন প্যাট্রিক।