মাহবুব তালুকদার সভা বর্জন করলেও বিঘ্ন ঘটেনি : ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভা বর্জন করলেও তাতে সভায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। আমরা নির্বিঘ্নে সারাদিন সভা করেছি।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির ৩৬তম সভা শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব এ কথা বলেন।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, মাননীয় নির্বাচন কমিশনার আজ সভার এজেন্ডায় কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেগুলো অন্তর্ভুক্ত না করায় তিনি প্রথমে সভায় যোগ দিয়েও পরে সভা থেকে বের হয়ে যান।

সচিব বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে খাতভিত্তিক ব্যয়ের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দিয়েছে। অনেক নির্বাচন সামগ্রী ক্রয় করে গুদামজাত করা হয়েছে। অবশিষ্টগুলো ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই কেনা হবে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতির বিষয়ে আমরা মাননীয় কমিশনারদের জানিয়েছি। আমরা সবকিছু চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। ভোটার তালিকার সিডি (কমপ্যাক্ট ডিস্ক) প্রস্তুত করে আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। কোনো ভুলত্রুটি থাকলে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে তাদের অবহিত করতে বলা হয়েছে।

হেলালুদ্দীন আরো বলেন, ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণের কাজও শেষ করেছি। ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সচিব বলেন, নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং (ইভিএম) মেশিন ব্যবহারের প্রস্তুতি থাকবে। যদি আইন সংশোধন হয় তাহলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএমকে জনপ্রিয় করার জন্য আগামী ২৭ অক্টোবর দেশের নয়টি স্থানে এবং নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে দুই দিনব্যাপী ইভিএম মেলার আয়োজন করা হবে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মনোনয়নপত্রে হিজড়াদের জন্য আলাদা কোনো কলাম থাকবে না। এ ক্ষেত্রে তাদের জন্য আগের নিয়মই বহাল থাকছে।

সচিব বলেন, নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অনলাইন এবং নিজস্ব সিস্টেমের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনে আমাদের প্রচুর লোকবলের প্রয়োজন হয়। এজন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোকবল সংগ্রহ করা হবে। এরই মধ্যে সরকারের কাছে মাঠ পর্যায়ে পদ ফাঁকা না রাখতে ইসির নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।