সাড়ে চার ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখার পর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের রাস্তা থেকে তুলে দেয়৷ এ সময় এক জনকে আটকও করা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আন্দোলনের আহ্বায়য়ক সঞ্জয় দাস ঢাকা টাইমসকে জানান, শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানার শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়। এসময় আন্দোলনকারীরা চাকরীতে বয়সসীমা ৩৫ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকে। হঠাৎ পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদেরকে রাস্তা থেকে তুলে দেয়।
এ সময় পুলিশ দুই জনকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ সঞ্জয়ের। এরপর তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, ‘আমরা তাদেরকে তুলে দিয়েছি। তারা রাস্তায় বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছিল। ঘটনার সময় একজনকে আটক করা হয়েছি তবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে বেলা ১১টায় শাহবাগে অবস্থান নেয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা প্রথমে শাহবাগে জড়ো হয়। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগ থেকে প্রেসক্লাবে যায়। সেখান থেকে ঘুরে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসে বসে পড়ে। অনেকে কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় শুয়ে থেকে প্রতিবাদ জানায়।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স সীমা এখন পর্যন্ত ৩০। এটি ৩৫ করার দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করছে একটি সংগঠন। আর সম্প্রতি সরকার বয়স সীমা বাড়ানোর বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। আর এরপরই নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের আগেই সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানাতে থাকে আন্দোলনকারীরা। কারণ, নির্বাচনকালীন সরকার কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।