গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন আজ

parliament of bangladesh - songsod

দশম জাতীয় সংসদে সর্বশেষ অধিবেশন বসছে আজ। অধিবেশন ঘিরে দেশি-বিদেশী সবার দৃষ্টি থাকবে সংসদের দিকে। এবার কী হবে জাতীয় সংসদে? সাড়ে তিনশ এমপির কেউ কী কোনো ইতিহাস সৃষ্টি করবেন? সংসদে কী অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রয়োজনে কোনো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হবে? নাকি আর দশটা অধিবেশনের মতোই সাদামাটা শেষ হবে? সংসদে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী ৪ মিনিটে এবং ষোড়শ সংশোধনী মাত্র ১১ মিনিটে পাস হয়েছিল। আবার ১৯৯৬ সালে ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেশের মানুষ জানতে পারে নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংসদে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি’ বিধান সংবিধানে সংযোজন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) বলেছে, বাংলাদেশের এবার নির্বাচন হবে হাই-টেনশনের; তেমনি সংসদ অধিবেশনে কী হয় সেটা দেখার জন্য ১০ কোটি ভোটার রয়েছে হাই-টেনশনে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল কয়েকদিন পরই ঘোষণা করা হবে। অথচ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেই কোনো দৃশ্যমান প্রস্তুতি। নির্বাচনের হাকডাক ক্ষমতাসীন দলের দৃশমান হলেও প্রতিদ্বন্দ্বি অন্য দলগুলোকে সভা-সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়া হচ্ছে না। উপরন্তু মাঠের দলগুলোর রয়েছে ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে’ নির্বাচনের দাবি। এ অবস্থায় নির্বাচন নিয়ে ‘অনিশ্চয়তা’ সব মহলেই। এমনকি গৃহপালিত বিরোধী দল তথা দেশের রাজনীতিতে সরকারের ‘নাচের পুতুল’ খ্যাত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে নির্বাচনের অনিশ্চয়তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে আজ শুরু হচ্ছে দশম জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশন। সংসদের সর্বশেষ এই অধিবেশন ৪ থেকে ৫ দিন চলতে পারে। যদিও সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে অনুষ্ঠেয় সংসদের কার্য উপদেষ্টার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিগত ২২তম অধিবেশন সংসদের সর্বশেষ অধিবেশন হওয়ার কথা থাকলেও ওই সময়ই হঠাৎ করে ২৩তম অধিবেশন আহবানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই অধিবেশনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দেশি ও আন্তর্জাতিক মহল। এ অধিবেশনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রয়োজনে সংসদ সদস্যরা কী কোনো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন? নাকি আবার দেশকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়ে অধিবেশনের সমাপ্তি ঘটবে?

গতকালও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের হাতে সময় হচ্ছে কম। নির্বাচন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু। সংসদ বসছে। আমাদের পাঁচ বছরের শেষ বৈঠক হবে। এরপর নির্বাচন প্রক্রিয়া। নির্বাচনে জনগণ যদি ভোট দেয় হয়তো নির্বাচিত হয়ে আসবো; আর যদি ভোট নাও দেয় আমার কোনো আফসোস নেই। বাংলাদেশে উন্নয়নের যে ধারাটা আমরা শুরু করেছি, আমি চাই সেই ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে। সামনে নির্বাচন রেখে সকলেই ভোট চায়। আমরাও ভোট চাই। আমার লক্ষ্যই ছিল দুইবার যদি চালাতে পারি তাহলে উন্নয়নটা দৃশ্যমান হবে। পদ্মাসেতু এখন দৃশ্যমান। আমিতো বলেই দিলাম জনগণ ভোট না দিলেও আমার খুব একটা আফসোস নেই’। আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘এবারের নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ; যেনতেন প্রকারের নয়’।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট(এনডিআই) বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ‘হতাশা’ এবং একই সঙ্গে ‘আশাবাদ’ ব্যক্ত করেছে। এনডিআই বলেছে- ‘বাংলাদেশের নির্বাচন হবে হাই-টেনশনের; তবে যদি সরকার ও বিরোধী দল একটি সত্যিকারের সংলাপে বসে তাহলে একটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ, শাস্তিপূর্ণ ও সবার জন্য মাঠ সমতলকারী অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা সম্ভব। — একটি নতুন জাতীয় সমঝোতা ধারার সূচনা এবং জাতির সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে চমৎকার অগ্রগতি ঘটেছে তা চলমান থাকতে পারে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত বিভিন্ন মৌলিক উপাদান রয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারা তার ইতিহাসে আছে—’। সংস্থাটি যেন মানুষের হৃদয় খুরে বেদনার কথা বের করেছে। আসন্ন নির্বাচনের অনিশ্চয়তা নিয়ে যেমন মানুষের মধ্যে হতাশা রয়েছে; তেমনি আশাবাদী মানুষের সংখ্যাও কম নয়। চরম অনিশ্চয়তা-হতাশা-সংঘাত-সংঘর্ষ এবং রক্তপাতের মধ্যেও এদেশের মানুষ ১৯৯৬ সালে দেখেছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে সংসদ সদস্যরা সারারাত জেগে সংসদে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ সংবিধানে সংযোজন করে বিল পাস করেছেন।
দেশের রাজনৈতিক ও সার্বিক পরিস্থিতি রাখঢাকের কোনো বিষয় নয়। ডিজিটাল যুগে কোনো কিছু গোপন করাও যায় না। সবকিছুই এখন ওপেন সিক্রেট। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র যে পিছিয়ে পড়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই দেশের মানুষ চায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে; ভোটের নামে উৎসব করে নিজের ভোট নিজে দিতে।

অন্যদিকে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলও চায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা ধরে রাখা এবং গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। ক্ষমতাসীন দলের নীতি নির্ধারকরা এতোদিন মনে করতেন বেগম জিয়ার মুক্তি দেয়া নাহলে বিএনপি হয়তো ৫ জানুয়ারির মতো এবারও নির্বাচন বর্জন করবে। হাওয়া দেখে এবার সে রকম মনে হচ্ছে না।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ছে। জাতিসংঘ, কমনওয়েল, ইউরোপিয় ইউনিয়নসহ প্রভাবশালী দেশ-সংস্থাগুলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে ঐকমত্য। তারা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার রক্ষা এবং আগামীতে ওই সব দেশ-সংস্থার সহায়তা পেতে হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অপরিহার্য। প্রয়োজনে তারা এ জন্য সব ধরণের সহায়তাও করতে প্রস্তুত।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই নির্বাচনের আগাম পরিবেশ ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা যাচাই করতে বাংলাদেশে পর্যবেক্ষক টিম পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। তারা বলেছেন, পর্যবেক্ষকরা ১৫ দিন বাংলাদেশে অবস্থান করে যে রিপোর্ট দেবেন সেটার আলোকে বাংলাদেশের উন্নয়নের সহায়তা ও বিনিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

আবার বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য ফ্যাক্টর মনে করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত। তিন দেশ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে তারা চান বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠন এবং সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। অথচ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা নির্বাচন নিয়ে এতোদিন ভিন্ন আঙ্গিকে চিন্তা করেছেন।

সুত্র জানায়, ক্ষমতাসীন দল ও ১৪ দলীয় জোটের নেতারা এতোদিন ‘নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন’ নিয়ে উচ্চ ধারণা পোষণ করতেন। তাদের ধারণা ছিল যেহেতু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর সংসদ মেয়াদ পূর্ণ করেছে; দেশী বিদেশী কোনো চাপে মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি; দিল্লির দূতিয়ালীর কারণে বিদেশীরাও তেমন চাপ দেয়নি। দেশের ভিতরেও রাজনৈতিক দলগুলো সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি; এখন পারবেও না। এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ মাঠের দলগুলো যতই দাবি ও আন্দোলন করুক সফল হতে পারবে না। আবার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ইস্যু নতুন করে যোগ হওয়ায় বিএনপি বেগম জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে যাবে না।

বিএনপি যাতে এবারও নির্বাচন বর্জন করে সে জন্যই নিম্ন আদালতের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় জামিন পেলেও কৌশলে অন্য মামলায় বেগম জিয়াকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে। কিন্তু ড. কামাল হোসেন ও বিএনপির জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর বিএনপি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। বিএনপির তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতা এবং বিদেশী কূটনীতিকরা চায় বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বেগম জিয়াকে মুক্তির পাশাপাশি নির্বাচনে অংশও আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছে বিএনপি। তবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া যে নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয় না সে ব্যাপারে দেশী ও আন্তর্জাতিক মহল ওয়াকেবহাল। এ অবস্থায় নির্বাচনের আয়োজন নির্বাচন কমিশন করলেও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের।

সংবিধানের ৭২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ সংসদের সবশেষ অধিবেশন আহবান করছেন। বর্তমান সংসদের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী হয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে; নয়তো কোনো ব্যত্যয় ঘটলে বা সংসদ ভেঙ্গে দিলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

তবে ড. কামাল হোসেন, বিএনপি, বামদল-ইসলামী দলসহ মাঠের বিরোধী দল সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে তথা পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির পর নির্বাচন দাবি করছে। সরকার সংসদ বহাল রেখেই ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশেই নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। বিশেষ করে কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শেখ হাসিনার ইমেজ সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্যই সরকার দেশী বিদেশী চাপেই হোক আর নিজেদের ইমেজ রক্ষার জন্যই হোক আসন্ন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সংসদের এই অধিবেশনে নেয়া হতে পারে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদের অধিবেশনের শুরুর দিনে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মনোনয়ন, শোকপ্রস্তাব গ্রহণ, প্রশ্নোত্তর, ৭১ বিধির নোটিশ নিষ্পত্তি, কমিটির রিপোর্ট উত্থাপন ও আইনপ্রণয়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। অধিবেশনের প্রথম দিনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রশ্নোত্তর এবং ৬টি বিল উত্থাপন ও একটি পাস হওয়ার কথা রয়েছে। সেগুলো হলো, সরকারি চাকরি বিল, বাংলাদেশ স্টান্ডার্ডাস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বিল, বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি বিল, বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল, মৎস সঙ্গনিরোধ বিল, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল। এর আগে সংসদের ২২তম অধিবেশন ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। ১০ কার্য দিবসে ওই অধিবেশনে ১৮টি বিল পাসের মাধ্যমে রেকর্ড সৃষ্টি হয়। অথচ পাস হওয়া একাধিক বিল সম্পর্কে অধিবেশনের আগে সংসদ সদস্যরা কিছুই জানতেন না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রয়োজনে হঠাৎ করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড গড়তে যদি কোনো বিল এই অধিবেশনে সংসদে উত্থাপন করা হয়; এমনকি সংবিধান সংশোধন করে বিল পাসও করা হয়; তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। কারণ বিগত অধিবেশনের সংসদের মাত্র ১০ কার্যদিবসে ১৮টি বিল পাস করে রেকর্ড গড়া হয়েছে। সে ধারা অব্যাহত রাখা হতে পারে। কারণ ১৫৩ জন এমপি বিনা ভোটে নির্বাচিত হলেও এবারের সংসদে অন্য রেকর্ডও রয়েছে। তাহলে ’৯১ পরবর্তী প্রতিটি সংসদে বিরোধী দল টানা সংসদ বর্জন করেছে; এবার তেমন ঘটনা ঘটেনি। যা জাতীয় সংসদের জন্য অনন্য রেকর্ড বটে। সূত্র: ইনকিলাব