লক্ষ্য ২৪৭ রান। তা এক রকম হাতের নাগালেই। চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটস দাস। উদ্বোধনীতে চমৎকার একটি জুটি গড়ে দলকে সহজ জয়ের পথ দেখান তাঁরা। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে লিটন সাজঘরে ফিরে গেলেও আরেক ওপেনার ইমরুল এগিয়ে নিচ্ছেন দলকে।
বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫২ রান, উইকেট হারিয়েছে তিনটি। ইমরুল ৬৩ ও মুশফিক ০ রানে ব্যাট করছেন।
উদ্বোধনীতে নেমে ইমরুল ও লিটন জুটি ১৪৮ রানের দারুণ একটি পার্টনারশিপ গড়েন। পরে লিটন ৭৭ বলে ৮৩ রান করে সাজঘরে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। এর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আউট হয়ে যান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা রাব্বিও (০)।
এর আগে টসে হেরে সফরকারী জিম্বাবুয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় মাত্র ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে। সে ধারাবাহিকতায় ৭০ রানে তারা হারায় দুই উইকেট। শুরুর এই ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেট জুটির দৃঢ়তায় ভালোভাবেই এগিয়ে যায় অতিথি দলটি। একপর্যয়ে মনে হয়েছিল বড় সংগ্রহ গড়তে যাচ্ছে তারা। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানে থামে সফরকারী দলটির ইনিংস।
দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা টেইলর এদিন নেমেই বেশ বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন। খেলেন ৭৩ বলে ৭৫ রানের একটি চমৎকার ইনিংস। যাতে নয়টি চারের মার ও একটি ছক্কা রয়েছে।
এরপর ইউলিয়ামস ৪৭ ও সিকান্দার রাজা ৪৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে এই সংগ্রহের পথ দেখান।
এর আগে ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (১৪) সাজঘরে ফিরিয়ে শুরুতেই সাফল্য এনে দিয়েছিলেন পেসার সাইফউদ্দিন। এরপর টেইলর ও জুওয়াও জুটি কিছুটা দৃঢ়তা দেখালেও মেহেদী হাসান মিরাজ এই জুটি ভাঙেন। আশা জাগিয়েও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি জুওয়াও (২০)।
অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন এদিন বলহাতে বেশ উজ্জ্বল ছিলেন। ৪৫ রানে তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। এ ছাড়া মাশরাফি, মুস্তাফিজ, মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট পান।