বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আইকন হওয়া সত্ত্বেও ড্রাফটে নাম ওঠার কথা ছিল মুশফিকুর রহীমের। কারণ, প্লেয়ার ড্রাফট শুরু হওয়ার আগেরদিন পর্যন্তও কোনো ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি করতে পারেননি মুশফিকুর রহীম। যে কারণে তার নাম ওঠানোর কথা ছিল প্লেয়ার ড্রাফটে। কিন্তু আজ সকালে প্লেয়ার ড্রাফট শুরু হওয়ার আগেই নতুন নাটকীয়তা তৈরি হলো। মুশফিকের সঙ্গে চুক্তি করলো চট্টগ্রাম ভাইকিংস।
বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে দু’জনের সঙ্গে আগেই চুক্তি করে রাখতে পেরেছিল ফ্রাঞ্জাইজিগুলো। যে কারণে প্লেয়ার ড্রাফটে অনেকের চোখ ছিল পাকিস্তানের বুমবুম আফ্রিদির দিকে। শেষ পর্যন্ত এই ক্রিকেটারকে ঢাকা থেকে ছিনিয়ে নিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে প্রশ্ন, যাদের ওপর চোখ ছিল সবচেয়ে বেশি সেই মুশফিক কিংবা আফ্রিদিদের কত টাকায় কিনেছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো! বিশেষ করে চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা। প্লেয়ার ড্রাফট শুরু হওয়ার আগেই ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে থাকা মুশফিকের সঙ্গে সর্বোচ্চ মূল্যে চুক্তি করেছে চট্টগ্রামের ফ্রাঞ্চাইজি।
‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরির মূল্য ছিল ৪০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে মুশফিক পাচ্ছেন ৭৫ লাখ টাকা। তবে এটা শুধুই চুক্তির মূল্য। এর মধ্যে বোনাস কিংবা হিডেন কোনো কিছু যুক্ত নেই।
বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন শহিদ আফ্রিদি। তাকে কিনতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে খরচ করতে হয়েছে ২ লাখ ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।