আম জনতা থেকে দেশের বড় নেতা হওয়ার খবর নতুন নয়। দিন বদলের সঙ্গে মানুষও বদলে যাবে এটাই স্বাভাবিক। যারযার স্বপ্ন লক্ষ্য থেকে কেউ কেউ কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হন আবার কেউ পারেননা। তাদের মধ্যে শ্রমিক নেতা সরোয়ার হোসেন হলেন অন্যতম। ১৯৮২ সালে লক্ষিপুর জেলায় এই তরুণ নেতা জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৭ সালে এসএসসি এরপরে আইকম, বিকম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স ফিলি সম্পুর্ন করেন।
ছোটবেলা থেকেই ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন এই তরুণ নেতা। লেখাপড়া শেষ করে চাকুরী জন্য ঢাকায় পাড়ি জমান। ২০০৩ সালে একটি পোশাক কারখানায় লাইন কোয়ালিটি পদে চাকুরী নেন। তবুও তার হৃদয়ে লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে পিছ পা হননি।
দীর্ঘ ৮বছর ধরে পোশাক কারখানায় দক্ষতা ও সুনামের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। চাকুরীতে থাকাকালীণ অবস্থায় পোশাক কারখানার কোন শ্রমিক সমস্যায় পড়লে তা সমাধানে ছুঁটে গেছেন তাদের দোড় গোড়ায়। ফলে চাকুরীতে দ্বায়িত্ব পালনে একটু বেগ পোহাতে হয়। পরে নিজের কথা না ভেবে শ্রমিকদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে শেষে চাকুরী ছেড়ে দিলেন।
এরপরে নিজের উদ্যোগে গড়ে তুলেন শ্রমিক পরিবার ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন। এই সংগঠনের মাধ্যমে তিনি তিলে-তিলে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে কোন প্রকার বিরোধ হলে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ার মধ্য দিয়ে সমস্যা সমাধানে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। এরফলে মালিক ও শ্রমিকের হৃদয়ে আলাদা একটা জায়গা করে নিয়েছেন। এছাড়া তিনি নানা সামাজিক কর্মকান্ডে সামনের দিকে এগিয়ে যান। ফলে সাভার ও আশুলিয়ায় ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।
তার এই উদ্যমী কর্মকান্ডের জন্যে ‘প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল’ (পিডিপি) নামের একটি সংগঠনের নজরে পড়েন এই তরুণ নেতা। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনের জন্য দলটির মহাসচিব প্রিন্সিপল এমএ হোসেন সরোয়ারের হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেন। এসময় মহাসচিব এই নেতার প্রশংসা করেন।
সরোয়ার বলেন, ছাত্র জীবন থেকেই দেশ ও দশের সেবায় আমি দীর্ঘদিন ধরে গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরী করেছি। নিজের সুখের কথা না ভেবে শ্রমিকদের দুঃখ-দূর্দশার কথা বিবেচনা করে চাকুরী ছেড়ে দেই। পরে শ্রমিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হই। সংগঠনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত শ্রমিকের সেবায় নিয়োজিত আছি এবং যতদিন বেঁচে থাকবো, ততোদিন তাদের উন্নয়নে কাজ করে যাবো। নেতা হতে আসেনি, এসেছি শ্রমিকের পাশে থেকে তাদের অধিকার আদায়ে কাজ করতে। পোশাক কারখানা হচ্ছে এদেশের অন্যতম সম্পদ। সিংহ ভাগ অর্থ আসে এ খাত থেকে। তাই এ সোনালী সম্পদের উপর যাতে করে কূচক্রী মহলের কূ-দৃষ্টি না দিতে পারে সেজন্যও প্রাণপন কাজ করেছি। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে শ্রমিক প্রতিনিধির বিকল্প নাই। তাই তাদের জন্য প্রার্থী হওয়া। আর শ্রমিক শ্রেণীর প্রার্থী নির্বাচিত হলে শ্রমিকের সুখে-দুঃখে সব সময় কাছে পাওয়া যাবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৯ আসন থেকে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা আমার হাতে মনোনয়ন পত্র তুলে দেন। এ আমি পিডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা ড. ফেরদৌস আহম্মেদ কোরেশী, কো-চেয়ারম্যান নিলুফার পান্না কোরেশী ও মহাসচিব প্রিন্সিপল এম এ হোসেনকে জানাই আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন। আমি যেন দলের নিয়ম-কানুন মেনে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারি এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থণা কামনা করছি।