রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার বিচার শুরু হয়েছে। এ মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলাটির বিচার শুরু হলো।
মামলার আসামিরা হলো- হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি’ নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, মো. মামুনুর রশিদ ও মো. শরিফুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে মামুনুর রশিদ ও শরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া কারাগারে থাকা আসামিদের মধ্যে বড় মিজান, সাগর, র্যাশ ও রিগ্যান হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে গত ৮ আগস্ট একই ট্রাইব্যুনাল পলাতক ২ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
চলতি বছর ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গিরা হামলা চালায়। এতে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন প্রাণ হারান। জঙ্গিদের গুলিতে ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।
আর অভিযান চলাকালে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। যৌথ বাহিনী পরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। ওই সময় দেশজুড়ে তোলপাড় হওয়া ওই ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।