ভোটের দিনে ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখার পরিকল্পনা ইসির

ec vobon

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন বিকেল পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি সীমিত রাখতে পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। তবে, ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময়ে ফলাফল পাঠানো ও ব্যবস্থাপনার সুবিধায় বিকালের পর থেকে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক থাকবে।

বুধবার সকালে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে নির্বাচনের দিন সফটয়্যার সংক্রান্ত ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিসটেম (ইএমএস), ক্যানডিডেট ইনফরমেশান ম্যানেজমেন্ট সিসটেম (সিআইএমএস) এবং রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিসটেম (আরএমএস) প্রশিক্ষণেএসব কথা বলেন ইসি সচিব।

প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশ্যে সচিব বলেন, এখন আমাকে একটি কথা বলেন তো- বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা আমাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছেন ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে আনার জন্য। ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে আনলে আপনাদের রেজাল্ট পাঠাতে খুব অসুবিধা হবে? প্রশিক্ষনার্থীরা জানান, সমস্যা হবে। তখন সচিব বলেন- আপনারা রেজাল্ট পাঠাবেন কখন থেকে? বিকেল ৫টা থেকে। ৫টা আগ পর্যন্ত যদি গতি কম থাকে? তখন প্রশিক্ষনার্থীরা জানান, সমস্যা নাই। সচিব বলেন- আচ্ছা আমরা বিষয়টি দেখবো। তাহলে ৪টার পরে যদি ফুল স্পিডে ইন্টারনেটের লাইন থাকে, তবে কোনো সমস্যা হবে না। বিষয়টি আমরা বিবেচনা করবো।

সচিব আরো বলেন, ৩০০ আসনে নির্বাচন করা একটা বিশাল ব্যাপার। দেশে যদি রাজনৈতিক সুপরিবেশ থাকে। তাহলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। আর যদি সুপরিবেশ না থাকে সব সময় আমাদেরকে বিতকের মধ্যে পড়তে হয়। বর্তমানে টেলিভিশন খুললেই, পত্রিকা খুললেই নির্বাচন নিয়ে কথা দেখা যায়। বাংলাদেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ নির্বাচন নিয়ে উন্মুখ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনাররা রুট লেভেল পর্যন্ত যাচ্ছেন, সভা করছেন, কথা বলছেন। এর উদ্দেশ্য নির্বাচনটা যাতে সুশৃঙ্খল হয়, সুন্দর, সুষ্ঠু হয়। সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য যোগ করেন সচিব।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এতো ব্যাপক কর্মযজ্ঞ কিন্ত আর কখনো গ্রহণ করা হয়নি। আমি ৩১ বছর ধরে মাঠে আছি। আমি নিজে রিটার্নিং, সহকারি রিটার্নিং অফিসার ছিলাম, ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এতো বিশাল কর্মযজ্ঞ এরআগে কখনো দেখিনি। আমার নতুন সাথে যোগ হয়েছে ইভিএম। ইভিএম নিয়েও আমরা নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দফায় দফায় প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশ্য করে সচিব আরো বলেন, আপনাদেরকে খুব সতর্ক হয়ে কাজ করবেন। একটা সংখ্যার এদিক সেদিক হলে কিš ‘ওই এলাকায় মারামারি শুরু হয়ে যাবে। এগুলো আপনারা সাবধানে করবেন।

টেলিভিশনের একটা বিজ্ঞাপন দেয় যে, যুদ্ধের সময় সেনা প্রধান বলল- সবাই জাগো। কিন্তু ‘সবাই শুনলো ভাগো। ভাগো শুনে সবাই ভেগে গেছেন। কথার শব্দের হের ফেরে যেমন একটা টোটাল অ্যারেঞ্জমেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। ঠিক তেমনি আমাদের একটা সংখ্যার কারণেও কিন্তু একটা এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে। আপনারা খুব সতর্কতার সাথে, সুন্দরভাবে, ঠান্ডামাথায় এ কাজটা করবেন।