রিজার্ভ চুরি : চলতি মাসেই মামলা

চুরি হওয়া রিজার্ভের টাকা উদ্ধারে চলতি মাসেই নিউইয়র্কের আদালতে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সচিব মো. আসাদুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। এ মাসের ভেতরেই মামলা হবে। এই মামলা দেখভালের জন্য বাংলাদেশের একজন আইনজীবী রয়েছেন। ঠিক তেমনিভাবে আমেরিকায়ও একজন আইনজীবী আছেন। তারা যৌথভাবে সময় নির্ধারণ করে এ মামলা দায়ের করবেন। তবে কার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এখনও সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, কতজনকে আসামি করব, কতজনকে বাদী করব এগুলো দুই দেশের আইনজীবীরা বসে ঠিক করবেন।

আন্তর্জাতিক আদালতের আইন অনুযায়ী এ মামলাটি ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করার সময়সীমা নির্ধারিত আছে তা না হলে জটিলতা বাড়বে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের আমি আশ্বস্ত করতে পারি নির্ধারিত সময়ের ভেতরেই মামলা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কমিশন রিপোর্ট দিয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি প্রকাশ করা হয়নি-আপনি তা প্রকাশ করবেন কি-না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকাশ করার প্রয়োজন হলে প্রকাশ করব আর প্রয়োজন না হলে করব না।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। সুইফটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হ্যাক্টড করে পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলংকায় যাওয়া দুই কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপাইনে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে এখনও ফেরত আসেনি ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডলার। এ অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে জমা রয়েছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক (ফেড) এবং ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।