কেশবপুরে দুর্ঘটনায় ৪ এস এস সি পরীক্ষার্থী আহত

jessore map

যশোরের কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে ছাদের পলেস্তা খসে মাথায় পড়ায় এক পরীক্ষার্থী ও সোমবার এস এস সি পরীক্ষা দিতে কেশবপুরে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও ৩ পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার এসএসসি পরীক্ষা দিতে কেশবপুরে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে। ওই দিন কেশবপুর শহরের অলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে তাদের আরবি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা ছিল। দ্রুত পরীক্ষার হলে পৌঁছানোর জন্য ইঞ্জিন চালিত ভ্যান মাত্রাতিরিক্ত গতিতে চালানোর কারণে উপজেলার বগার মোড় এলাকায় অপরদিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সাথে ইঞ্জিনভ্যানের ধাক্কা লাগে। এতে ইঞ্জিনভ্যানে থাকা তিন পরীক্ষার্থী আহত হয়। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহতরা হলেন, মেহতাজ (১৫), তানিয়া (১৫),সুমাইয়া (১৫)। এরা সবাই নেহালপুর মাদ্রাসা থেকে ২০১৯ সালের এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। তাদের সবার বাড়ি নেহালপুর গ্রামে।

প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সবাই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে। নেহালপুর মাদ্রাসার সুপার আবুল কালাম গ্রামের কাগজকে জানান, এস এস সি পরীক্ষা দিতে আসার পথে ৩ শিক্ষার্থী সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে।

এ দিকে কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে রবিবার সকাল ১১টার দিকে ছাদের পলেস্তা খসে মাথায় পড়ায় সাবিহা তাবাসছুম নাজিয়া নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে । সে কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। সে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের ২য় তলার ২০৬ নং কক্ষে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরীক্ষা শুরুর প্রায় এক ঘন্টা পর ঝুঁকিপূর্ণ ছাদের এক খন্ড পলেস্তার খসে তার মাথায় পড়লে সে আহত হয়। এ সময় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা রুহুল আমিন জানান, ছাদের পলেস্তার খসে পড়ে তার মেয়ে মাথা ফুলে উঠে। ঝুঁকিপূর্ণ রুমে পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য তিনি দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে কেশবপুর পাইলট স্কুল অ্যাড কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব আছাদুজ্জামান বলেন, ছাদের পলেস্তারের ছোট একটি অংশ ওই পরীক্ষার্থীর মাথার উপর পড়ে। তবে আহত হওয়ার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। তবুও সাথে সাথে কেন্দ্রের কর্তব্যরত ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে। এতে তার পরীক্ষা দিতে কোন অসুবিধা হয়নি। পরবর্তী পরীক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষের পরীক্ষার্থীদের অন্য কক্ষে স্থানান্তর করা হবে।