গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখুন : সশস্ত্র বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী

দেশ ও জাতির কল্যাণে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে সশস্ত্র বাহিনীকে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে কোর্স সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া উন্নয়নের ধারা গতিশীল রাখতে সশস্ত্র বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা রাখারও তাগিদ দেন তিনি।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আরো দক্ষতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে থাকেন। ঢাকার ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজও তার অন্যতম। এখান থেকে এখন পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করেছেন। যাদের মধ্যে ৪২টি বন্ধুপ্রতিম দেশের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাও আছেন।

এ বছর কোর্স সম্পন্ন করা ৪৫ জন বিদেশিসহ ২১৫ জন সামরিক কর্মকর্তার হাতে সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় রাখা বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্বের পাশাপাশি দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশংসনীয় অবদান রাখছেন। দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম, অবকাঠামো নির্মাণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও তাদের অবদান প্রশংসনীয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন নতুন পরিবর্তনের ফলে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা ও দায়িত্বে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনীকে আরো জোরালো ভূমিকা পালনেরও আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে এই শক্তিকে শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ ও উন্নয়নের স্থিতিশীলতা ধরে রাখারও প্রতিশ্রুতি দেন শেখ হাসিনা।

এ বছর মোট ১১ জন নারী কর্মকর্তা গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিব ছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী কর্মকর্তার কোর্সে অংশগ্রহণ অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমি, আশা করি ভবিষ্যতে নারী কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ আরো বৃদ্ধি পাবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. এনায়েত উল্লাহ।

এ বছর স্টাফ কলেজ থেকে মোট ২১৫ জন গ্র্যাজুয়েশন অর্জনকারীর মধ্যে সেনাবাহিনীর ১১৮ জন কর্মকর্তা, নৌবাহিনীর ২৯ জন কর্মকর্তা এবং বিমান বাহিনীর ২৩ জন কর্মকর্তাহ এবং বিশ্বের ১৯টি দেশের ৪৫ জন বিদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন। ১৯টি দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, ফিলিপাইন, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।