যশোরে যুবক খুন

যশোর শহরতলীর শেখহাটি আদর্শপাড়ার ভাটাপাড়ায় দু’দল যুবকের মধ্যে ছুরিকাঘাতে একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

নিহত মামুন (৩২) গোপালগঞ্জ বর্নিগ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে। বর্তমানে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড বাবলাতলার রবিউল ইসলাম মনির বাড়ির ভাড়াটিয়া। পেশায় শহরের জেস টাওয়ারের মোবাইল মেকানিক।
আহত আরিফ হোসেন (২৫) ও শেফালিকে (৫০) আড়াইশ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছ্ত্রালীগকর্মী আরিফ শহরের পুরাতন কসবা আমতলার বজলু খলিফার ছেলে, এমএম কলেজের ছাত্র ও আহত শেফালি শহরতলরি শেখহাটি জামরুলতলার হরুনের স্ত্রী।

শনিবার বিকেলে শহরতলীর শেখহাটি আদর্শপাড়ার ভাটাপাড়ায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

কোতয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, শনিবার বিকেলে (আছরবাদ) বাপ্পা নামে এক ছেলে জনৈক মেয়েকে নিয়ে শেখহাটি আদর্শপাড়ার ভাটাপাড়ায় ঘোরাফেরা করছিল। শেখহাটি জামরুলতলার হারুনের ছেলে হৃদয় ও তার সহযোগী একই এলাকার ফয়সাল বাপ্পাকে মেয়েসহ আটকিয়ে রাখে। বাপ্পা নিহত মামুন ও আহত আরিফকে মোবাইল করে তাদেরকে উদ্ধারের জন্য। বাপ্পার ফোন পেয়ে নিহত মামুন, আহত আরিফ, উপশহরের সাগরসহ কয়েকজন বাপ্পাকে উদ্ধার করতে ঘটনা স্থল শেখহাটিতে গেলে হৃদয়, ফয়সালদের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এসময় উভয় পক্ষ একে অপরকে ছুরিকাঘাত করে। এতে মামুন, আরিফ ও ঠেকাতে যেয়ে হৃদয়ের মা ছুরিকাহত হয়। ছুরিকাহত ঘটনার পর প্রায় বেশ কিছু সময় ধরে ভাটাপাড়ায় আহত মামুন ও আরিফ পড়ে ছিল। এতে তাদের শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ক্ষরন হয়। এরপর সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার কল্লোল কুমার সাহা মামুনকে মৃত ঘোষনা করেন।

ডা. কল্লোল কুমার সাহা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই মামুন মারা যায়। আহত আরিফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক।

নিহত মামুনের ছোট ভাই আতিক জানান, মাগরিবের নামাজের একটু আগে মামুন ঘোপ নওয়াপাড়া রোড বাবলাতলার বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তারা খবর পায় মামুন ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে। হাসপাতালে যেয়ে তারা মামুনের লাশ মর্গে দেখতে পায়। নিহত মামুনের তিন বছরের একটি মেয়ে আছে। শহরের জেসটাওয়ারে তার মোবাইল মেরামতের দোকান ছিল।

এঘটনায় কোতয়ালি থানা পুলিশ হাসপাতাল চত্বর থেকে শহরের পোস্ট অফিস পাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে বাবলাকে আট করেছে।