ইরাকে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

মঙ্গলবার দিবসের প্রথমভাগে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) মুহা. রেজাউল কবীর, দূতালয় প্রধান মো. অহিদুজ্জামান লিটন, দ্বিতীয় সচিব (শ্রম) আবু সালেহ মোঃ ইমারানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ইরাকে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু মাকসুদ এম ফরহাদ। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাঁদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।

সন্ধ্যায় বাগদাদের মানসুর হোটেলে ইরাকে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি, মন্ত্রী, আমলা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ি, সরকারি-বেসরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রবাসিদের জন্য জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও অস্ট্রেলেশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক এম্বাসেডর আলী আল দাবাগ। রাষ্ট্রদূত ফরহাদ তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও সম্প্রতী ইরাকের মশুলে ফেরি ডুবিতে হতাহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক মেমোরি অফ ওয়ার্ল্ড রেজিষ্টারে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে তা উপস্থিত অতিথিদের অবগত করেন এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়ন, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বান্ধব বাংলাদেশকে সবার কাছে তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ ও ইরাকের ৪৬ বছরের ঐতিহাসিক সম্পর্ক, ইরাক প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি ও ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর ইরাক পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করেন। ইরাকি জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে ৪৯তম স্বাধীনতা দিবসে অভিনন্দন জানান। পরে দূতাবাসের সদস্য ও ছেলেমেয়েদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।