‘প্যারোলে মুক্তির জন্য খালেদা কোনো আবেদন করেননি’

ফাইল ছবি

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড নিয়ে পুরনো ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তিতে তিনি বা তার পরিবার কোনো আবেদন করেননি বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন।

বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান কমিটির বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জয়নুল এসব কথা বলেন। সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল বলেন, ‘প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি গণমাধ্যম থেকেই আমরা জেনেছি। প্যারোলের বিষয় নিয়ে খালেদা জিয়া নিজে কিংবা তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো কথা বলেনি বা আবেদন করেনি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও তার প্যারোলে মুক্তি বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়নি।’

‘অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সরকারের সদিচ্ছা নেই। রাজনৈতিক মামলা দিয়ে তাকে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি করে দিন দিন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।’

কোনো মামলায় খালেদাকে হাইকোর্ট জামিন দিলেও সরকারের পক্ষ থেকে বার বার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয় অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের জন্য কাজ না করে সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ করছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে আগাম জামিনের বিষয়ে নিজের সফলতা তুলে ধরের জয়নুল আবেদীন। বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় যেন সর্বোচ্চ আদালত জামিন দিতে পারে সেজন্য প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেনদরবার করেছি। ফলে আজকে সব বেঞ্চই আগাম জামিন দিচ্ছেন এবং বিচারপ্রার্থী মানুষ বিচার পাচ্ছে।’

সভাপতি থাকাকালে বিচার বিভাগের ওপর হওয়া অনেক হামলা প্রতিহত করা হয়েছে মন্তব্য করে জয়নুল বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে এবং ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ছিল ঐতিহাসিক। পরবর্তীতে ষোড়শ সংশোধনী রায়ের কারণে বিচার বিভাগের ওপর আরও কঠিন হামলা এসেছে। প্রধান বিচারপতিকে জোর করে দেশের বাইরে পাঠানো এবং পদত্যাগ করানো হয়েছে। তবুও এত কিছুর মধ্যেও আইনজীবী সমিতির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে এগিয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে সরকার কৌশল নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে খালেদা জিয়াকে ভর্তি একটা কৌশল হতে পারে।’

‘সরকারের দ্বারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।’

সমিতির বিদায়ী সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন (পুনরায় নির্বাচিত সম্পাদক), সহ-সভাপতি মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, এম গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ নাসরিন আক্তার, সহ-সম্পাদক কাজী জয়নুল আবেদীন, মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।