সিইসির কাছে পুনর্নির্বাচন চাইলেন আ’লীগ প্রার্থী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৬টি কেন্দ্রের পুনরায় ভোটগ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু।

বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গিয়ে এ লিখিত আবেদন করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।

আবেদনে উল্লেখ করা ওই ১৬ কেন্দ্র হলো- বারো আউলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোনাউর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধনাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণপুর ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা, চরলাপাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লাপাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিত্রি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহবাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাহপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র।

লিখিত আবেদনে বলা হয়, ১৬টি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যালট পেপারে গরমিল, প্রথমিক বেসরকারি ফলাফল বার্তা প্রেরণ শিট ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কর্তৃক গণনার ফলে তিন প্রার্থীর মোট ভোট ও বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যায় ব্যাপক গরমিল রয়েছে।

এছাড়াও অন্যায় ও অবৈধভাবে নৌকা প্রতীকের সাড়ে চার হাজার বৈধ ভোট স্থানীয় এমপি (এবাদুল করিম বুলবুল) দ্বারা প্রভাবিত হয়ে উপজেলা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বাতিল দেখানো হয়েছে।

লিখিত আবেদনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে দোয়াত কলম প্রতীকে সিল মেরে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নবীনগর থানা ওসির সমন্বয়ে ভোররাতে বেসরকারিভাবে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামানকে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগ করা হয়।

একই সঙ্গে ওই ফলাফলের গেজেট না প্রকাশ করারও দাবি জানানো হয়েছে আবেদনে।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন টিটু বলেন, ওই কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। আমার পোলিং এজেন্টদেরকে বের করে সিল মারা হয়েছে। নৌকা পেয়েছে এক জায়গায় শূন্য আরেক জায়গায় দুই ভোট। দোয়াত কলম পেয়েছে ১৮০০ ও ১৬০০ ভোট। আমি প্রথমে ১৬ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলাম। আমার সাড়ে চার হাজার ভোট সিল মেরে নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ কাটাকাটির পরও আমি চার-পাঁচশ ভোটে এগিয়ে ছিলাম। আমার বিজয়কে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।

তবে টিটুর অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে নবীনগর থানার ওসি রনোজিত রায় বলেন, ব্যালট পেপার-ব্যালট বাক্স ও নির্বাচন ফলাফল প্রকাশ এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাজ। আমরা শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপালন করেছি।