ভবদহ অঞ্চলে লবন পানির আগ্রাসনে শতাধিক একর বোরো ধান নষ্ট

ভবদহ অঞ্চলের অভয়নগর উপজেলার পায়রা গয়ার বিলে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করানোর ফলে শতাধিক একর জমির বোরো ধান নষ্ট হয়েছে। বিআরডিসির অপরিকল্পিত সেচ প্রকল্পের কারনে কৃষকেরা এ ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, যশোরের অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের গয়ার বিলে বিআরডিসির সেচের আওতায় চলতি মৌসুমে প্রায় দেড়শ একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়। বিআরডিসির সেচ প্রকল্পের দায়িত্বে এসব জমিতে সেচ দেওয়া হয়।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা জানান, নলকুপ বসিয়ে ওই সব জমিতে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করার কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু লাখ লাখ অর্থ খরচ করে অনেক দূর থেকে পাইব লাইন বসিয়ে টেকা নদী থেকে লোনা পানি সরবরাহ করা হয়।

কৃষি অফিস জানায়, অতিরিক্ত মাত্রার লবনাক্ত পানি সেচের কাজে ব্যবহার করায় ঐ বিলের প্রায় দেড়শ একর জমির ইরি গোছা নষ্ট হয়ে গেছে। লবনের প্রভাবে ধান বের হবার আগে ধানের গোছা লাল বর্নের হয়ে গেছে। এ অবস্থার কারনে কৃষকরা ইরি ধান ঘরে তুলতে পারছে না। জমিতে লবনাক্ততার প্রভাব থাকায় আগামী বোরো মৌসুমে ফসল উৎপাদন ব্যহত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশংঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা জানান, প্রজেক্ট এর মাধ্যমে পাম্প দিয়ে পানি আনা হয়। কিন্তু পানি লবনাক্ত হওয়ার কারনে পানি দিতে নিষেধ করা হয়। বিষয়টি কৃষি বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের জানালেও কোন সুরাহা হয়নি।

এ বিষয়ে বিআরডিসি সেচ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা মাওলানা আছর আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তিনি বলেন, লোনা পানিতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে মারাত্মক কোন ক্ষতি হয়নি। প্রথমে নদীর পানি দিয়ে সেচ দিলেও পরে বোরিং এর মাধ্যমে পানি তুলে সেচ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ওই মাঠের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করার জন্য কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছি।

উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে অবগত নয়।