এবার শ্রীলংকার জার্সি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা

বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের জার্সির বিষয়টি।

সবুজের মাঝে লাল না থাকায় এই জার্সিকে পাকিস্তানের জার্সির সঙ্গে তুলনা করে সমালোচনায় মেতে উঠেন সমর্থকরা। দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনাসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঠা ঝড় গিয়ে ঠেকে সংসদ ভবনে।

এসব সমালোচনার মুখেই জার্সির ডিজাইন পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাও একবার নয় তিন তিনবার!

অথচ ঠিক উল্টো ব্যাপার ঘটল বিশ্বকাপে শ্রীলংকা দলের জার্সির বেলায়। গতকাল শুক্রবার নিজেদের বিশ্বকাপ জার্সি উম্মোচন করে শ্রীলংকা। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই জার্সি।

বেশিরভাগ ক্রিকেটপ্রেমীই জার্সির ডিজাইনের প্রশংসা করেছেন।

দুটি জার্সি উন্মোচন করেছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। একটি মূল জার্সি এবং অপরটি প্র্যাকটিস কিট।

দুই জার্সিই বেশ পছন্দ হয়েছে বেশিরভাগ ক্রীড়ামোদিদের। মূল জার্সির গ্রাফিক্সের কারুকাজ মন কেড়ে নিয়েছে তাদের। এছাড়া শ্রীলংকার ঐতিহ্যবাহী গাঢ় নীল আর হলুদ রঙের মিশ্রণে জার্সিটি তাক লাগিয়ে দিয়েছে নেটবিশ্বে।

এমন জার্সি দেখে বাংলাদেশের কেউ কেউ আক্ষেপ করে বলেছেন, এই না হলে বিশ্বকাপ জার্সি! দেখলেই মন ভরে যায়। এমন জার্সির জন্য শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ডকে অভিনন্দন।

এদিকে তৃতীয় দফায় জার্সির ডিজাইনে পরিবর্তন এনেছে বিসিবি। স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের আপত্তির কারণে এই পরিবর্তন।

এ ব্যাপারে শনিবার মিরপুরে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, হাতে লাল রং থাকলে স্পনসরের লোগোর সঙ্গে মিশে যায়। ওদের লোগোর রংও তো লাল। স্পনসরদের চাহিদাও তো আমাদের দেখতে হবে। আর বেশি লাল থাকলে দেখতে খুব একটা দৃষ্টিনন্দনও হয় না। এ কারণে আরেকবার বদলে এটাই চূড়ান্ত করেছি।

তবে জার্সিতে লাল রঙ যুক্ত করায় শুরু দিকের বির্তকটির সমাধান এলো।