‘ফণী’র প্রভাবে সারাদেশে নিহত ১৮, আহত অর্ধশতাধিক

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সৃষ্ট বজ্রপাত, ঝড় ও বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। ফণীর প্রভাবে শুক্রবার ও শনিবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে শনিবার ভোরবেলা ভোলা জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কুরালিয়া গ্রামে ঘরচাপা পড়ে আনোয়ারা বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। প্রায় একই সময়ে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়ার খাল গ্রামে ঘরের নিচে চাপা পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, আব্দুল বারেকের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬০) ও তার নাতি জাহিদুল ইসলাম (৮)। এছাড়াও নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলার সুবর্ণচরে ঘরচাপা পড়ে চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর আমিনুল হক গ্রামের আবদুর রহমানের দুই বছরের শিশু ইসমাইলের মৃত্যু হয়েছে।

‘ফণী’র প্রভাবে সারাদেশে নিহত ১৮, আহত অর্ধশতাধিক

এর আগে শুক্রবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে পাকুন্দিয়ায় ৩ জন, মিঠামইনে ২ জন ও ইটনায় ১ জন, মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কুর্শাকান্দা গ্রামের আয়াজ আলীর ছেলে আসাদ মিয়া (৫৫), চরফরাদি ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের আবদুল হালিমের মেয়ে নুরুন্নাহার (৩০), এন্তাজ আলীর ছেলে মুজিবুর(১৭), মিঠামইন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (২৩), কেওয়াজোড় ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৭) ও ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাটুইর গ্রামের রাখেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস(২৬)। এছাড়া একই জেলার তাড়াইল উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে বিদ্যুতের তার থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

পাশাপাশি নেত্রকোনার মদন উপজেলায় গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের কদমশ্রী হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মনিকা পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুল বারেক (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় বজ্রপাতে আপেল মিয়া (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই দিন বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে চোরামনকাটি গ্রামে ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে শাহানুর বেগম (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।

‘ফণী’র প্রভাবে সারাদেশে নিহত ১৮, আহত অর্ধশতাধিক

এদিকে শুক্রবার মাদারিপুরে ‘ফণী’ মোকাবিলায় নৌযান চলাচলে জারি করা নিষেধাজ্ঞা না মেনে মাদারীপুরের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচলের সময় স্পিডবোট ও ট্রলারের সংঘর্ষে মুরাদ (২৫) নামে এক যাত্রী নিহত ও ১০ যাত্রী আহত হন। একই ঘটনায় শনিবার আমির হামজা (৬) নামে এক শিশু ও ২১ বছর বয়সী এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়েছে।