পরিকল্পিতভাবেই বৈমানিক এস এম পারভেজ সানজারির গায়ে এসিড নিক্ষেপ করা হয়। সানজারি সংগীতশিল্পী মিলার সাবেক স্বামী। সানজারির ভাই আইনজীবী আল আমিন খানের অভিযোগ, সানজারির গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করা হয়। তাঁকে বিকলাঙ্গ করার জন্যই ওইভাবে এসিড ছোড়া হয় বলে দাবি করেন আল আমিন খান।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন আল আমিন খান। ‘এইড ফর মেন’ নামক সংগঠন সানজারির ওপর হামলার বিচারের দাবিতে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে সংগীতশিল্পী মিলা ও তাঁর সহকারী জন পিটারের গ্রেপ্তার দাবি করেন বক্তারা।
আল আমিন খান বলেন, ‘ভাইয়া বাইক নিয়ে যাচ্ছিল। এই সময় সামনে এসে পড়ে জন পিটার। বলতে থাকে, আমাকে বাঁচান। আমাকে মিলা মেরে ফেলবে। গাড়ি থামাতেই ভাইয়ার দিকে এসিড নিক্ষেপ করে পিটার। চিৎকার করতে থাকে ভাইয়া। রাস্তার পাশে এক বাড়িতে গিয়ে তাদের সহযোগিতা নিয়ে পানি ঢালতে থাকে গায়ে। পিটার যখন গাড়ি থামানোর জন্য আর্তনাদ করছিল, তখন রাস্তার অদূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মিলা। তাঁকে দেখেই দুর্ঘটনা আন্দাজ করতে পারেন ভাইয়া। ততক্ষণে এসিড মারা হয়ে গেছে। তার গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে এসিড মারা হয়েছে। যাতে করে সারা জীবনের জন্য সে বিকলাঙ্গ হয়ে যায়।’
গত ২ জুন সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন সানজারি। গত ২ থেকে ৯ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৬০২ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
গত ৪ জুন এসিড দমন আইনে গায়িকা মিলার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন পারভেজ সানজারির বাবা এস এম নাসির উদ্দিন। উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি (নম্বর-৫) দায়ের করা হয়। ওই মামলার এজাহারে মিলা ও তাঁর সহকারী পিটার কিমকে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ বুধবার সকাল ১০টায় মানববন্ধন করেন সানজারির ভাই ও এইড ফর মেন নামে একটি সংগঠন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন এইড ফর মেন সংগঠনের আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জন। এ ছাড়া এইড ফর মেন-এর আইন উপদেষ্টা আইনজীবী কাউসার হোসাইনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল আদালতে মিলার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন পারভেজ সানজারি।