গ্রেফতার এড়াতে নদীতে ঝাঁপ, প্রাণ গেল আ’লীগ নেতার

মাগুরার শ্রীপুরে গ্রেফতার এড়াতে মঙ্গলবার বিকেলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল মোল্লার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমার নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরিরা।

আমিরুল শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন।

আমিরুলের ভাই বাহারুল মোল্লা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে আমিরুল শ্রীকোল বাজারে চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় গ্রাম্য প্রতিপক্ষ বাহারুল মেম্বার পুলিশ নিয়ে আসেন তার ভাইকে গ্রেফতার করতে। উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওলিয়ার রহমানের নেতৃত্বে আসা ডিবি পুলিশের একটি টিম এসেই চায়ের দোকানে বসা আমিরুলকে ধাওয়া দেয়। এ সময় আমিরুল গ্রেফতার এড়াতে দৌঁড়ে কুমার নদীতে ঝাপ দেন। মাঝ নদীতে গিয়ে আমিরুল হাত উচু করে বাঁচাও-বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় এসআই ওলিয়ার নৌকা নিয়ে মাঝ নদীতে গিয়ে লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে তাকে নদীর তলদেশে দিয়ে দেন। পরে উপস্থিত লোকজন ও দমকল কর্মীরা নদীতে নেমে দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজি করলেও তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। খুলনা থেকে ডুবুরি দল এসে বুধবার তার মরদেহ উদ্ধার করে।

অমিরুলের ভাই বাহারুল মোল্লার দাবি করেন তার ভাই নির্দোষ। গ্রাম্য দলাদলি ও সামাজিক বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিপক্ষ বাহারুল মেম্বার ষড়যন্ত্র করে তার ভাইয়ের নামে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, আমিরুলের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় সংর্ঘষ ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত এসআই ওলিয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।