যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের দৌলতদিহি গ্রামে মাহবুর হোসেন (৪) নামে শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে ওই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। মৃতের মায়ের দাবি তার স্বামী ও সতিন পরিকল্পতি ভাবে তাকে হত্যা করেছে। তবে, পিতার দাবি তার ছেলের শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের মামা ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, ছয় বছর আগে দৌলতদিহি গ্রামের আব্দুর রহমানের সাথে চৌগাছার কাকড়িয়ার আবুল হোসেনের মেয়ে জ্যোৎস্না খাতুনের সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে তাদের ছেলে মাহবুর হোসেন (৪) ও মেয়ে মারিয়া খাতুন (১) ছিলো। এরআগে আব্দুর রহমানের সাথে চাঁনদিনা নামে এক নারীর বিয়ে হয়। সাত বছর আগে সাংসারিক বিরোধের কারনে তাদের ছাড়াছাড়ি হলে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে জ্যোৎস্না খাতুনকে বিয়ে করেন। প্রথম সাংসারিক জীবনে চাঁনদিয়া ও চাঁনদিনা মারুফ হোসেন (৭) ও মীম খাতুন (১১) নামে দু’সন্তান রয়েছে। ছয় মাস আগে আব্দুর রহমান ও চাঁনদিনা প্রেমর্জ সম্পর্কের মাধ্যেমে আবারও বিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ওই সময় দ্বিতীয় স্ত্রী জ্যোৎস্না খাতুন তার ছোট মেয়ে মীমকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। আর বড় ছেলে মাহবুর হোসেন পিতার সাথে থাকতো। প্রায় সময় ছোট স্ত্রীকে তালাক দেয়ার জন্যে আব্দুর রহমান মোবাইলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো। শুক্রবার বিকালে আব্দুর রহমান তার ছোট স্ত্রীকে ফোন করে জানান, তাদের ছেলে অসুস্থ। সন্ধ্যায় জ্যোৎস্না খাতুন স্বামীর বাড়িতে আসে জানতে পারেন তার বড় ছেলে মাহবুব হোসেন শ্বাসকষ্টে মারা গেছে।
মৃতের মা জ্যোৎস্না খাতুনের অভিযোগ, তাকে তালাক দিয়ে স্বামী প্রথম স্ত্রী চাঁদদিয়ার সাথে নতুন করে সংসার করতে তার ছেলেকে স্বামী ও সতিন মুখে কীটনাশক ডেলে হত্যা করেছে। তিনি এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
মৃতের পিতা আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, তার ছেলে দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভুগছিলো। ছোট থেকেই ছেলেকে বারীনগরের এক ডাক্তারের কাছে দেখিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার ভ্যান যোগে বারীনগর বাজার থেকে ডাক্তার দেখেয়ে ফেরার সময় ঠিক পায় তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বা তার প্রথম স্ত্রী মাহবুরকে হত্যা করেনি। শ্বাসকষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে।
সাজিয়ালী ফাঁড়ির এসআই আনিছুর রহমান আনিস জানিয়েছেন, মৃত্যুতে রহস্য আছে। ময়নাতনন্তের রিপোর্ট হাতে আসবার পর মৃত্যুর সঠিক কারন বলা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করা হয়েছে।