যশোরে রানা হত্যা মামলার চার্জশীট

যশোরে রানা হত্যা মামলার চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি পুলিশ। শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত ও ৪ জনের অব্যাহতি চেয়ে সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক হারুন অর রশিদ আদালতে গত সপ্তাহে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

অভিযুক্ত অন্যরা হলো- ষষ্ঠীতলা বুনোপাড়ার মৃত শফি মিয়ার ছেলে তরিকুল ইসলাম, নাইটগার্ড ফরিদের ছেলে নিশান, শ্যামল মন্ডলের ছেলে মানিক ওরফে বুনো মানিক, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার বিল্লাল হোসেনের ছেলে সাহিদুল ইসলাম সাইদুল, মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে নাহিদুজ্জামান বাবু, পান দোকান্দার আব্দুস সালামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দেলো, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জীবন ইসলাম, মৃত তাইজুল ইসলামের ছেলে মালেক, টিবি ক্লিনিক মোড়ের মানিক মুন্সির ছেলে নূর নবী মুন্সি ওরফে ট্যাবলেট সোহেল, আশ্রম রোডের ফয়েজ উদ্দিন ধলু মিয়ার ছেলে ডেঞ্জার সোহাগ, খড়কি জেবিনের মোড়ের ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেনের ছেলে তৌফিক রাব্বি বর্ষন, খড়কি কলাবাগান পাড়ার ফায়েকের দুই ছেলে সাগর ও রমজান ও ষষ্ঠীতলার মৃত বাচ্চু ড্রাইভারের ছেলে বাবু।

অব্যাহতি চাওয়া আসামিরা হলো- শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া ইসমাইল কলোনীর ফারুক পকেটমারের ছেলে কুদরত, রায়পাড়ার নূরু মিয়ার ছেলে সাইফুল, টিবি ক্লিনিক মোড়ের এম আলী আহম্মেদের ছেলে আলিফ হোসেন নয়ন ও লোন অফিস পাড়ার মৃত রোস্তম আলীর ছেলে হানিফ।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে রানা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো। পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডেও তার অংশ গ্রহণ ছিল। এতে আসামিদের সাথে তার বিরোধের সৃষ্টি হয়। সে কারনে আসামিরা তাকে হত্যার হুমকি দেয়। গত বছরের ২৯ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে রানা যশোর শহর থেকে ষষ্ঠীতলা পৌছানো মাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় তার রহিমা বেগম বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ বিভিন্ন সময়ে তিনজনকে আটক করে। প্রথমে মামলাটি কোতোয়ালি থানার এসআই দেবাশীষ রায় ও পরে এসআই এইচএম মাহমুদ তদন্ত করেন। পরবর্তীতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডি পুলিশের উপর দায়িত্ব দেয়া হয়। সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক হারুন অর রশিদ তদন্ত শেষে ওই ১৫ জনকে অভিযুক্ত ও ৪জনের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।