বর্তমানে দেশে সবচাইতে বড় আতঙ্কের নাম এডিস মশা। সমাজের এলিট থেকে শুরু করে নিন্ম শ্রেণির সবার কাছে এটি একটি আতঙ্ক। অনেকেই এডিস মশার কামড় খেয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। আবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন কেউ কেউ। এডিস মশার বংশবিস্তার ঠেকাতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষ যখন সচেতন হচ্ছেন। রাখছেন বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার, ধ্বংস করছেন এডিস মশার আবাসস্থল। ঠিক তখনই ভিন্ন চিত্র চোখে পড়েছে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে। সমাজের সবচাইতে নামিদামি, বুদ্ধিদিপ্ত মানুষগুলোর বসবাস বা চলাচল এই চত্বরে হলেও এখানে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে তারা যেন একেবারেই অচেতন।
এই চত্বরের বিভিন্ন এলাকায় জমে আছে বৃষ্টির পুরোনো পানি, পড়ে আছে পরিত্যাক্ত বর্জ, হয়ে আছে বড় বড় ঝোঁপঝাড়। সরেজমিন উপজেলা পরিষদ চত্বর ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে। বিষয়টি সাধারণ মানুষের নজরে পড়লেও তা যেন নজরে পড়ছে না সংশ্লিষ্ট কারও।
শুক্রবার সকালে ছবি তুলতে গেলে কথা হয় প্রাত ভ্রমনে বের হওয়া একাধিক ব্যক্তির সাথে। এসময় তারা উপজেলা পরিষদ চত্বরের এমন চিত্র দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের প্রায় কাজরই উদ্দেশ্য হচ্ছে সময় পার করা মাত্র।
উপজেলা পরিষদে নিয়মিত সেবা নিতে আসা অনেকেই বলছেন, শুধু গ্রাম এলাকা পরিষ্কার করলে হবে না, পরিষদ চত্বরও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অন্যথায় এখানে সেবা নিতে আশা লোকজন এডিস আক্রান্ত হলে তাদের মাধ্যমে গ্রামগঞ্জে ছড়াতে পারে ডেঙ্গু।
এবিষয়ে জানতে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফীর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন, এই ব্যাপারে ইউএনওর সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।