মণিরামপুরে প্রেমে প্রতারিত হয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা, প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা

monirampur jessore map

যশোরের মণিরামপুরে প্রেমিকের কাছে প্রতারিত হয়ে সাথী হালদার (১৬) নামে এক কলেজ ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। সাথী উপজেলার রোজিপুর গ্রামের প্রভাষক সুভাষ হালদারের মেয়ে। সে ভবদহ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে সোমবার সকালে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে কথিত প্রেমিক পঙ্কজ পালসহ ৫ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন।

মামলার অপর আসামিরা হচ্ছেন, পঙ্কজের বাবা বিকাশ পাল, তার সহযোগি হারুন সরদার, শহিদুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম। আসামিদের বাড়ি কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া গ্রামে।

প্রভাষক সুভাষ হালদার জানান, তার মেয়ে ভবদহ কলেজে ১ম বর্ষে পড়ছিলো। এরমধ্যে পাঁজিয়া গ্রামের বিকাশ পালের ছেলে পঙ্কজ পালের সাথে সাথীর প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের জের ধরে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) পঙ্কজ পাল সাথীকে কেশবপুরে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রাত্রি যাপন করে সাথী। পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্ধুর সাথে সাথীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় পঙ্কজ। এরপর দুইজন অপরিচিত ছেলে বাড়িতে এসে সাথীকে জানায়, পঙ্কজকে তার বাবা ভারতে পাঠিয়ে দিচ্ছে, সে সাথীকে বিয়ে করবে না। এসব শুনে ভেঙে পড়ে সাথী। রোববার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে দ্বিতল ঘরের চিলেকোটায় আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) সিকদার মতিয়ার রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।