যশোরে নিটল মটরসের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

court jessore
ফাইল ছবি

স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ট্রাক বিক্রি ও টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে নিটল মটরসের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে।

যশোর শহরতলীর তরফ নওয়াপাড়ার ইমরান মিয়া ইমু বাদী হয়ে রোববার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিচারক সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, নিটল মটরস যশোর শহরের ঢাকা রোড বারান্দীপাড়া তালতলা অফিসের সিইও নুরুজ্জামান, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আসাদ ও এরিয়া ম্যানেজার রায়হান।

বাদীর দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি যশোরের ঢাকা রোড তালতলার নিটল মটরসের অফিস থেকে ৩৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা ৬০টি কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে ২ লাখ টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-১৭৭৬) একটি ট্রাকের চ্যাসিস ক্রয় করেন। এছাড়া ওই অফিসে রেজিস্ট্রেশন বাবদ ৮৯ হাজার ২৪৬ টাকা, ইন্সুরেন্স বাদদ ২৪ হাজার ৭০১ টাকা, পেপার প্রসেসিং বাবদ আড়াই হাজার টাকাসহ মোট ৩ লাখ ১৬ হাজার ৪৪৮ টাকা জমা দিয়ে চ্যাসিসটি গ্রহণ করেন। এরপর বডি নির্মাণের জন্য আরো ব্যয় হয় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। গাড়িটি রোডে চলাকালিন ২৫টি কিস্তিতে ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৫৪৮ টাকা কোম্পাণির অনুকুলে জমা দেন। এতে ওই গাড়ির পিছনে বাদীর সর্বমোট ব্যয় করেন ২৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯৬ টাকা। রোডে গাড়িটি চলাকালিন সময়ের মধ্যে আসামিরা গাড়িটি আটক করে অন্যত্র লুকাইয়া রাখে। পরবর্তীতে কোম্পাণির ঢাকা অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারেন ওই তিনজনে গাড়িটি বাদীর সহি স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে অন্যাত্র বিক্রি করে দিয়েছে। ফলে গাড়ির মালিক ইমরান মিয়া ইমুর ২৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯৬ টাকা ওই তিনজনে আত্মসাৎ করেছে। পরে বিষয়টি তাদের কাছ জানতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছে।