টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল পেলেন বসনিয়া-হার্জেগোভিনা মিডফিল্ডার মিরালেম পিয়ানিচ। গোলে ফিরলেন দলের মধ্যমণি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জোড়া গোলে স্প্যালকে হারিয়ে সিরি-‘এ’তে টানা তিন ম্যাচে জয় তুলে নিল জুভেন্টাস।
ঘরের মাঠে শনিবার শুরু থেকে আধিপত্য নিয়ে ফুটবল খেলেও গোল পেতে ৪৫ মিনিট অবধি অপেক্ষা করতে হল মৌরিজিও সারি’র দলকে। সৌজন্যে পিয়ানিচের দূরপাল্লার দর্শনীয় ভলি। এর আগের সময়টা স্প্যালের তিনকাঠির নীচে গোলরক্ষক বেরিশার অনবদ্য কিছু সেভ রোনালদোদের পিছু হটতে বাধ্য করে। দিবালার বাঁ-পায়ের দুরন্ত শট শরীর ছুঁড়ে হোক কিংবা র্যামসের হেড গোললাইন সেভ, সবেতেই নিজেকে দক্ষতার শীর্ষে নিয়ে যান স্প্যাল দুর্গের শেষ প্রহরী।
কিন্তু বিরতির ঠিক আগে সামি খেদিরার সাজিয়ে দেওয়া বল বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত সাইডভলিতে জালে রাখেন পিয়ানিচ। এক্ষেত্রে শরীর শূন্যে ছুঁড়ে দিয়েও বলের নাগাল পাননি বেরিশা। একমাত্র গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় জুভেন্টাস। দ্বিতীয়ার্ধেও ঘনঘন আক্রমণে বিপক্ষ রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখে জুভেন্তাস আক্রমণভাগ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও স্যামি খেদিরার দুরন্ত হেড স্প্যাল গোলরক্ষকের দস্তানায় প্রতিহত হয়। বারদুয়েক বেরিশাকে পরীক্ষার সামনে ফেলেন দিবালা ও রোনালদো।
এরপর ম্যাচ শেষের ১২ মিনিট আগে দিবালা-রোনালদো যুগলবন্দিতেই দ্বিতীয় গোলের সন্ধান পায় তুরিনের ক্লাবটি। এক্ষেত্রে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের বাঁ-প্রান্তিক ক্রস থেকে পর্তুগিজ সুপারস্টারের জোরালো হেডের কোনও উত্তর ছিল না স্প্যাল গোলরক্ষকের কাছে। বাকি সময়টা স্কোরলাইনের কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় ২-০ গোলে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস। এই জয়ের পর ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগে দ্বিতীয়স্থানে রোনালদোরা। স্যাম্পদোরিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে একইদিনে লিগ শীর্ষে উঠে এল ইন্টার মিলান। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৮।
এদিকে লা-লিগায় উত্তেজক মাদ্রিদ ডার্বি রইল নিষ্ফলা। দুই অর্ধ মিলিয়ে বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত সুযোগ তৈরি করলেও সারা ম্যাচে গোল অধরা রইল দু’দলের। ফাইনাল থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেললেন রিয়াল-অ্যাটলেটিকো’র আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। ম্যাচ শেষের ১৫ মিনিট আগে ম্যাচের সহজতম সুযোগটি হাতছাড়া করেন করিম বেনজেমা। রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকারের দুরন্ত হেড এযাত্রায় রক্ষা করেন অ্যাতলেটিকো গোলরক্ষক জন ওবলাক।