প্রতারণার মামলায় এবার নাম জড়াল ভারতের দিল্লির বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে। দিল্লির একটি আদালতে চলা এই সংক্রান্ত মামলার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে গম্ভীরের নাম ঢুকিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তবে শুধু গম্ভীর নয়, ওই চার্জশিটে আরও অনেকের নাম আছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালে গাজিয়াবাদের ইন্দ্রপুরমে ফ্ল্যাট কেনার জন্য একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছিলেন ৫০ জনের বেশি মানুষ। কিন্তু, আজও ফ্ল্যাটের চাবি হাত পাননি তারা। তাই ২০১৬ সালে ওই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা রুদ্র বিল্ডওয়েল রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেড এবং এইচ ইনফ্রাসিটি প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ দায়ের করেন। এই আবাসন প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ও একজন ডিরেক্টর ছিলেন বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর।
পুলিশের দায়ের করা চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৩ সালের ৬ জুন ওই বিল্ডিংয়ের অনুমোদিত প্ল্যান জমা দেওয়ার সময়সীমা ফুরিয়ে ছিল। কিন্তু, ২৩ জুনের পরেও প্রচুর মানুষের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল ফ্ল্যাট তৈরি করে দেওয়া হবে বলে। এমনকী ২০১৪ সালের জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত অনেক ক্রেতাদের সঙ্গে ফ্ল্যাট বিক্রির চুক্তিও করেছে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কোম্পানি দুটি। প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট থাকা জমি নিয়ে আইনি সমস্যা থাকলেও ক্রেতাদের তা জানানো হয়নি।
তদন্তকারীদের আরও অভিযোগ, ওই প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর গৌতম গম্ভীরের মনমোহনী প্রচারে প্রলুব্ধ হয়েছিলেন ক্রেতারা। ওই প্রকল্পের দায়িত্ব থাকা সংস্থাগুলি তার ইমেজকে ব্যবহার করে মানুষকে লোভ দেখিয়েছিলেন। যে কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করেছিলেন গম্ভীরও। তাই প্রতারণার দায় তিনিও অস্বীকার করতে পারেন না। তবে শুধু গৌতম গম্ভীর নয় দাখিল করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এই প্রকল্পের অন্য প্রোমোটার মুকেশ খুরানা ও ববিতা খুরানারও নাম আছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন