বাঘারপাড়ায় গৃহবধু তুলি হত্যা মামলায় স্বামী জুলফিকারের আত্মসমর্পণ

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার গৃহবধু জিনিয়া ইয়াসমিন তুলি হত্যা মামলায় এজাহারভূক্ত আসামি জুলফিকার আলী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।

সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জুলফিকার বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত মোশারফের ছেলে।

এর আগে এ মামলা তদন্ত শেষে তিনজনকে আসামি করে করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। চার্জশিটে প্রধান আসামি জুলফিকারের ভাই যশোর বিমান বাহিনী কর্পোরাল প্রভোস্ট (বিডি-৪৭০৭১৯) শাহাবুদ্দিনকে আটক ও অন্য দুজনকে পলাতক দেখানো হয়। এরপর জুলফিকার আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও তার মা ফরিদা বেগম রয়েছে এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

গত ১৩ এপ্রিল স্বামী জুলফিকার নিহত তুলির সাথে একঘরে মোবাইলে কথা বলতে থাকে এমন সময় মা ফরিদা দরজা আটকে দেয়। পরে শাহাবুদ্দিন ঘরের ভিতরে তুলিকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে। তুলিকে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৪ এপ্রিল তিনি মারা যায়। একই সাথে দুই বছরের শিশু আলিফ ও একবছরের শিশু হামজা মা হারা হন। এ ঘটনায় নিহত তুলির পিতা ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের শহিদুল বাদী হয়ে মামলা করেন। কিন্তু ওই মামলার এজাহারে অজ্ঞাত কারনে স্বামীর নাম বাদ দেয়া হয়। পুলিশ ঘাতক শাহবুদ্দিনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। পরে বাঘারপাড়া থানার এস আই রফিকুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে জুলফিকারের সম্পৃক্ততা প্রমান পান। একই সাথে চার্জশিটে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমাদেন। চার্জশিটে উঠে আসে স্ত্রী তুলি ও দুই শিশু পুত্র থাকলেও তাদেরকে ফেলে জুলফিকার আরেকজনকে বিয়ে করে ঢাকায় সংসার পাতে। এ নিয়ে দন্দ্বে জুলফিকারের পরিকল্পনায় তার ভাই শাহবুদ্দিন হত্যা করা হয় তুলিকে। আর এ হত্যায় সহযোগিতা করে জুলফিকারের মা ফরিদা বেগম।