সৌম্যর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ফাইনালে বাংলাদেশ

সহজ জয়ে ইমার্জিং কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ব্যাট-বলে সৌম্য সরকারের দাপুটে পারফরম্যান্সে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।

সেমিফাইনালে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত একটি দিন পার করেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে সুযোগই দেয়নি স্বাগতিকরা। আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আফগানরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে করতে পারে ২২৮ রান। সহজ এই লক্ষ্য মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৬১ বল আগে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এই জয়ের নায়ক সৌম্য। বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে তিনি খেলেছেন ৬১ রানের কার্যকরী ইনিংস।

২২৯ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শুরুতে মোহাম্মদ নাঈমকে হারালেও ঘুরে দাঁড়ায়। নাঈম ২১ বলে করেন ১৭ রান। তার বিদায়ের পর সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত বড় জুটি গড়েন। দুজনই পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। চলতি ইমার্জিং কাপে ফর্মে থাকা সৌম্য খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। ৫৯ বলের ইনিংসটি বাঁহাতি ওপেনার সাজান ৩ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়।

অধিনায়ক শান্তও খেলেছেন চমৎকার ইনিংস। সময় উপযোগী ব্যাটিংয়ে ৬৮ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় খেলে যান ৫৯ রানের ইনিংস। তাদের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত করেন আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলী। আফিফ ৩৬ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪৫ রানে। আর ইয়াসির ৫৬ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ২৮ রানের ইনিংস।

এর আগে চলেছে বাংলাদেশের বোলারদের দাপট। হাসান মাহমুদ (৩/৪৮), সৌম্য (৩/৫৮) ও তানভীর ইসলামের (২/৩৩) চমৎকার বোলিংয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি আফগানিস্তান। লড়াই করেছেন কেবল দারবিশ রাসুলি। এই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পূরণ করে খেলেছেন ১১৪ রানের ঝলমলে ইনিংস। ১২৮ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭ চারের সঙ্গে সমান ছক্কায়। এছাড়া ওয়াহিদউল্লাহ শাফাক ৩৪ ও তারিক স্ট্যানিকজাই করেন ৩৩ রান।

ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। শনিবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে দল দুটি।