ভবদহে টিআর এম (জোয়ারাধার) চালু না থাকায় পলি জমে শ্রী-হরি ও টেকা নদী ভরাট হয়ে গেছে। এ বছর এক বিন্দু পানি নিষ্কাশিত হয়নি। এমতোবস্থায় আশু করণিয় বিষয়ক এক মত বিনিময় সভা শুক্রবার সকালে যশোরের মনিরামপুর উপজেলারের মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা এলাকায় অবস্থিত পানি কমিটি ও উত্তোরণ এনজিও সংস্থার আয়োজনে মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহণ করেন- যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক নের্তৃবৃন্দ।
সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়। কিন্তু তাঁরা মতবিনিময় সভায় হাজির না থাকায় উপস্থিত নের্তৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মতবিনিময় সভায় দ্রুত টিআরএম চালু করা ও আমডাঙ্গা খাল সংস্কার করার দাবি ওঠে। এ
সময়ে টিআরএম বিরোধী নেতা নেহালপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল শাহদাত বলেন, আমরা টিআরএম এর বিরোধীতা করে ভুল করেছিলাম। এখন টিআরএম চালু করার জন্য যা যা করার তা আমরা করবো বলে তিনি সভায় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
তবে এ ক্ষেত্রে তিনি একটি শর্ত আরোপ করেন। তিনি বলেন, টিআরএম বিরোধীতা করতে যেয়ে আমরা ৪টি মামলায় শতাধিক লোক হয়রানির শিকার হচ্ছি। সরকার যদি মামলা তুলে নেয় তা হলে বিল কপালিয়ায় টিআরএম চালু করতে কেউ বাধা দেবে না।
সভায় নের্তবৃন্দ বলেন, এ বছর বর্ষা অনেক কম হয়েছে বলে বাড়ি ঘরে জল উঠেনি। তবে বিল গুলো ডুবে আছে। এক মাস পরেই বোরা ধান রোপনের মৌসুম। এ বছর ভবদহ গেট দিয়ে এক বিন্দু পানি নিষ্কাশিত হয়নি। যে কারনে বোরো ধানের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মনোহরপুর ইউনয়নের আর এক নেতা কালিপদ মন্ডল বলেন, সরকার টিআরএম না করলেও আমরা জোর করে বেড়ি কেটে টিআরএম চালু করবো।
পানি কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- মনিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, অভয়নগর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এনামুল হক বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য ফারুক হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান বিষ্ণপদ দত্ত, শেখর চন্দ্র রায়,মশিয়ার রহমান, রেজোয়ান মোল্যা, বিকাশ রায় কপিল, প্রভাষক মদন মোহন চক্রবর্তী প্রমুখ।
সভায় দ্রুত টিআরএম বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।