ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে স্বর্ণ জয় বাঘিনীদের

দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ক্রীড়াযজ্ঞ এসএ গেমসের ১৩তম আসরে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা নারী দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল সালমা খাতুনরা।

রোববার পোখারার রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে আবার ২ রানে হারিয়ে স্বর্ণ পদক জয় করল তারা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট খুইয়ে মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় বাঘিনীরা। তবে জয় ছিনিয়ে নিতে ভুল করেনি সালমা খাতুনের দল। বাঘিনীদের বোলিং তোপে ৮৯ রানেই প্যাকেট হয়ে যায় লঙ্কান নারীরা।

বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন নাহিদা আকতার। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন জাহানারা আলম, সালমা খাতুন ও খাদিজা তুল কুবরা।

লঙ্কান অধিনায়ক হারশিতা ৩৩ বলে ৩২ রান করে আউট হয়ে গেলেও সমানে সমানে লড়ে যাচ্ছিল অপর ব্যাটসম্যান আপসারা। শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ৭ রান। জাহানারা আলমের করা সে ওভারে ৪ রানের বেশি নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ২৫ রানে আউট হন আপসারা।

বাংলাদেশের পক্ষে উইকেটরক্ষক নিগার সুলতানা জ্যোতি করেন ২৯ রান ও ফাহিমা খাতুন করেন ১৫ রান। এছাড়া সানজিদা ইসলাম ১৫ ও মুরশিদা খাতুন করেন ১৪ রান।

দুরন্ত বোলিং করে ফাইনালে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন নাহিদা আকতার।

এসএ গেমসের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছে নারী ক্রিকেট। আর প্রথমবারের স্বর্ণপদক নিজের করে নিল টাইগ্রেসরা।

এসএ গেমসের ক্রিকেট ইভেন্টে পুরুষদের মতোই দাপট দেখিয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। গ্রুপ পর্বে খেলা বাংলাদেশ তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করে। যে কারণে এই ইভেন্টেও সোনা নিয়ে ফিরবে বলে প্রত্যাশা ছিল দেশবাসীর।

আর অঘোষিত সেমিফাইনাল ম্যাচে নেপালের মেয়েদের ৪১ রানে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা।

গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কার। তাদের সালমারা হারায় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এরপর টাইগ্রেসরা খেলতে নামে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে। নেপালকে তারা হারায় ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

এরপর তৃতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলতে নেমে রীতিমতো বিশ্বরেকর্ড গড়ে সালমা বাহিনী। ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৫৫ রান করে তারা। এরপর বোলিংয়ে নেমে মালদ্বীপকে মাত্র ৬ রানে অলআউট করে দেয়।

সবমিলিয়ে চলতি এসএ গেমসে বাংলাদেশের এটি ১০তম স্বর্ণ জয়।