আরচারিতে দশে দশ বাংলাদেশের

এসএ গেমসে আরচারি ১০ ইভেন্টের সবগুলোতেই সোনা জিতেছে বাংলাদেশ। এসএ গেমসের ৩৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ডিসিপ্লিনের সবকটি ইভেন্টে অংশনিয়ে তার সবগুলোতেই সোনা জিতল বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা।

নেপালের কাঠমান্ডু-পোখারার চলতি আসরে এরই মধ্যে ১৮টি সোনা জিতেছে বাংলাদেশ। দেশ ও দেশের বাইরে এসএ গেমসের হিসেবে সেরা সাফল্যকে ছুঁয়েছেন অ্যাথলেটরা। ২০১০ সালের আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৮ সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার সুযোগ নতুন চূড়ায় ওঠার।

কালে পোখারায় ন্যাশনাল আরচারি গ্রাউন্ডে সোনালি হাসির শুরু কম্পাউন্ড এককের ফাইনালের মধ্যদিয়ে। শ্রীলঙ্কার প্রতিযোগীকে ১৪২-১৩৪ স্কোরে হারিয়ে বাংলাদেশকে দিনের প্রথম সোনার পদক এনে দেন সুমা বিশ্বাস। এরপর পুরুষ এককের ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ১৩৭-১৩৬ স্কোরে ভুটানের প্রতিযোগীকে হারিয়ে দেন সোহেল রানা।

কম্পাউন্ডের সাফল্যের রেশ রিকার্ভেও ধরে রাখে বাংলাদেশ। মেয়েদের রিকার্ভ এককে ভুটানের প্রতিযোগী দেমা সোনমের বিপক্ষে ৭-৩ সেট পয়েন্টে ইতি জিতলে দিনের তৃতীয় সোনার পদক পায় বাংলাদেশ।

আগের দিন রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টে রোমান, তামিমুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল সোনার পদক জয় করেন। তারা ৫-৩ সেট পয়েন্টে শ্রীলঙ্কাকে হারান। রিকার্ভ মহিলা দলগত ইভেন্টের ফাইনালে ইতি, মেহনাজ আক্তার মনিরা ও বিউটি রায় ৬-০ সেট পয়েন্টে জিতেন। রিকার্ভ মিশ্র দলগততেও সেরা হয় বাংলাদেশ। কম্পাউন্ড পুরুষ দলগতর ফাইনালে ভুটানকে ২২৫-২১৪ স্কোরে হারায় অসীম কুমার দাস, সোহেল রানা ও মোহাম্মদ আশিকুজ্জামানে গড়া বাংলাদেশ দল। কম্পাউন্ড মহিলা দলগত বিভাগে শ্রীলঙ্কাকে ২২৬-২১৫ ব্যবধানে হারিয়ে সোনা জিতে সুস্মিতা বণিক, শ্যামলী রায় ও সোমা বিশ্বাসকে নিয়ে গড়া দল। কম্পাউন্ড মিশ্র দ্বৈতে জুয়েল রানা-রোকসানা আক্তার জুটি স্বাগতিক নেপালের জুটিকে ১৪৮-১৪০ ব্যবধানে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো সোনার হাসি এনে দেন।